বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, পত্রিকা ও লিফলেটের মাধ্যমে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর দনিয়া এলাকা থেকে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব-১১)।
এক ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (২ জুলাই) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার কদমতলী থানার দনিয়া এলাকার ইভারওয়ে সিকিউরিটি প্রাইভেট লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানের অফিস থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মোসলেম উদ্দিন ওরফে রানা (৩০), মো. ইসমাইল (৩১), মো. জালাল উদ্দিন (৫০), মো. শরিফ হোসেন (২০), শবনম আক্তার (৩২), সুমাইয়া আক্তার রিভা (১৮) ও বিথী আক্তার (৩০)। এ সময় উদ্ধার করা হয় ৬০ জন চাকরিপ্রত্যাশী ব্যক্তিকে।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে জব্দ করা হয়- ১টি কম্পিউটার, ১টি মোবাইল ফোন, ৫ টি সিল, চাকরির আবেদনপত্র, বিপুল পরিমাণ ভুয়া চাকরির বিজ্ঞাপন, ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের রশিদ, চাকরিপ্রত্যাশীদের নিবন্ধন ফরম ও নগদ অর্থ।
দীর্ঘদিন ধরে লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে এই চক্রটি প্রতারণা করে আসছিল বলে জানায় র্যাব।
র্যাব-১১’র ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে মো.জসিম উদ্দীন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায় এই সংঘবদ্ধ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে পত্রিকা, লিফলেট ও অনলাইনের মাধ্যমে লোভনীয় বেতনে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। তারা হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ।
জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা জানায়, এই চক্রের মূলহোতা মোসলেম উদ্দিন ওরফে রানা। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে বেকার তরুণদের আকৃষ্ট করে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে প্রত্যেক চাকরি প্রত্যাশীর কাছ থেকে আবেদন ফি হিসেবে ৫০০ টাকা ও প্রশিক্ষণ বাবদ ৭ থেকে ৯ হাজার টাকা করে নেওয়া হতো।
পরে তাদেরকে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র ধরিয়ে দিয়ে কাজ করতে বলা হতো ভুয়া প্রতিষ্ঠানে। এভাবে মাসের পর মাস অফিসে আসা-যাওয়া করে বেতন না পেয়ে প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পারেন অনেকে। তারা টাকা ফেরত চাইলে তাদেরকে ভয়-ভীতি, হুমকি এমনকি মারধরও করা হতো বলে জানিয়েছে র্যাব।
মো. জসিম উদ্দীন আরও জানান, বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-১১ অনুসন্ধানে নামে। অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ডিএমপি’র কদমতলী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
Leave a Reply