শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ করোনা পরিস্থিতির শুরু থেকেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। নিজের জীবন বাজি রেখে এ বাহিনীর সদস্যরা দিন-রাত কাজ করছেন। এতে আক্রান্তের পাশাপাশি অনেকে মারাও গেছেন। তবু থেমে থাকেননি তারা। চলছে যুদ্ধ জয়ের সংগ্রাম। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশও এর ব্যতিক্রম নয়। তারাও মানুষের সেবায় কাজ করছে হরহামেশাই।
শনিবার বিকেলে হঠাৎ চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৬৩টি অক্সিজেন সিলিন্ডার খালি হয়ে যায়। পরে রিফিল করতে কুমিরা এলাকায় মোস্তফা হাকিম গ্রুপের অক্সিজেন প্লান্টে নেয়া হয়। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে রিফিল করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে অক্সিজেন রিফিল করা সম্ভব না হলে প্রায় ৩০০ রোগীকে কঠিন সংকটের মুখে পড়তে হবে। বিশেষ করে জরুরি অক্সিজেন সাপোর্টের অভাবে সংকটাপন্ন যেকোনো রোগীকে বাঁচানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। ঠিক সে মুহূর্তেই এ খবরটি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (উত্তর) বিজয় বসাকের কাছে পৌঁছায়। তিনি তাৎক্ষণিক পাঁচলাইশ মডেল থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়াকে জানান। এছাড়া জরুরি ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে পাঁচলাইশ মডেল থানা থেকে পুলিশ পাঠান এডিসি বিজয়।
এভাবেই বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অক্সিজেনগুলো রিফিল করতে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় ছোটাছুটি করেন পাঁচলাইশ মডেল থানার পুলিশ সদস্যরা। অবশেষে রিফিল করে গভীর রাতে যথাযথ জায়গায় অক্সিজেনগুলো পৌঁছে দিয়ে থানায় এসেছেন তারা।
পাঁচলাইশ মডেল থানার ওসি আবুল কাশেম ভূঁইয়া বলেন, নির্দেশ পেয়ে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করি। অবশেষে মাথায় আসে চট্টগ্রামে ফ্রি অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফিল দেয়ার কাজে এগিয়ে আসা যুবক সৈয়দ ইকরামুল হকের কথা। পরে কল দেয়া মাত্রই তিনি রাজি হন। তবে তাদের রিফিলিং সেন্টার বন্ধ হওয়ায় কাল সকালে দিতে পারবেন বলে জানান। রাতেই অক্সিজেন রিফিল সহায়তা করার জন্য তাকে আবারো অনুরোধ জানাই। সবকিছু বুঝিয়ে বলি। পরে তিনি বিভিন্ন জায়গায় কথা বলেন।
ওসি আবুল কাশেম বলেন, সৈয়দ ইকরামুল তাৎক্ষণিক বারো আউলিয়ার ফুলতলা জিইডি সুবেদার অক্সিজেন প্লান্টের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ওয়াহিদ ফেরদাউসের সঙ্গে কথা বলেন। পরে ওয়াহিদ ফেরদাউস অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো রিফিল করতে রাজি হন।
তিনি আরো বলেন, রাজি হওয়ার পর চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট দুইজন কনসালটেন্টের সঙ্গে কথা হয়। এছাড়া এসআই ইমাম হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিমসহ অক্সিজেন সিলিন্ডারগেুলো জিইডি সুবেদার অক্সিজেন প্লান্টে পাঠানো হয়। সেখানে সবগুলো সিলিন্ডার রিফিল করেন প্লান্ট কর্তৃপক্ষ। অবশেষে গভীর রাতেই হাসপাতালে সেগুলো বুঝিয়ে দেয়া হয়।
Leave a Reply