মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ রংপুর মেট্রোপলিটন থানার হারাগাছে গ্রাহকদের ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বানুপাড়া রুরাল ডেভলপমেন্ট সংস্থার (বিআরডিএস) বিরুদ্ধে।
করোনার সুযোগে গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা না দিয়ে ওই সংস্থার তিন পরিচালক গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সমিতির প্রায় সাড়ে ৫ হাজার গ্রাহক। যাদের অধিকাংশই দিনমজুর, শ্রমিক ও নিম্নআয়ের মানুষ।
তবে এ বিষয়ে হারাগাছ থানার ওসি রেজাউল করিম জানিয়েছেন, তারা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছেন। প্রাথমিক তদন্তে টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানা এলাকার উদয় নারায়ন মাছহাড়ী গ্রামের মমেনা ও ফেনসি বেগম জানান, এককালীন সঞ্চয়ের আশায় অন্যের বাড়িতে কাজ করে সপ্তাহে পঞ্চাশ টাকা করে দুইজন মিলে প্রায় দেড় লাখ টাকা জমা দিয়েছেন বানুপাড়া রুরাল ডেভলপমেন্ট সংস্থায়। সঞ্চয়ের টাকা পাবার আগ মুহূর্তে এখানকার কর্মকর্তারা অফিস বন্ধ করে রাতের আধারে চলে গেছেন।
উদয় নারায়ন মাছহাড়ী গ্রাম ছাড়াও চারুভদ্র, ধুমেরকুটি, বানুপাড়াসহ ১৩টি গ্রামের সাড়ে ৫ হাজার গ্রাহক পাচ বছর মেয়াদে সাপ্তাহিক কিস্তিতে বিশ হাজার থেকে সত্তর হাজার টাকা পর্যন্ত জমা করেছিলেন সংস্থাটিতে।
ভুক্তভোগী হেসকারু, তোফা, নারায়ন, রুবি জানান তারা কেই তাদের মেয়ের বিয়ের জন্য, কেউবা জমি কেনার জন্য সঞ্চয় জমিয়েছিলেন বানুপাড়া রুরাল ডেভলপমেন্ট সংস্থায়। হঠাৎ করেই গ্রাহকদের সঞ্চয়ের প্রায় ১৫ কোটি টাকা নিয়ে সঁটকে পড়েন সমিতির তিন পরিচালক তাজুল মিয়া, আশরাফুল ও ফরহাদ মিয়া। এরই মধ্যে খুলে ফেলা হয়েছে সমিতির সাইনবোর্ডও। আর সঞ্চয়ের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে দিশেহারা এসব স্বল্প আয়ের মানুষ।
রংপুর মেট্রোপলিটন হারাগাছ থানার ওসি রেজাউল করিম জানান, বানুপাড়া রুরাল ডেভলপমেন্ট সংস্থার তিন পরিচালকের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের প্রায় ১৫ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত শুরু করার পর টাকা আত্মসাতের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই তিন পরিচালকে গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়েছি। আশাকরি তাদেরকে অল্প কিছুদিনের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে পারব।
২০১০ সালে হারাগাজ পৌর এলাকায় বানুপাড়া রুরাল ডেভলপমেন্ট সংস্থা নামে ওই সমিতিটি চালু করেন তাজুল, আশরাফুল ও ফরহাদ মিয়া।
অভিযোগ রয়েছে দীর্ঘ দিন ধরে দারিদ্র বিমোচনের নামে সদস্য সংগ্রহ করে আসছিলো সংস্থাটি। যাদের মূল টার্গেটই ছিলো নিম্ম আয়ের মানুষ । এসব নিন্ম আয়ের মানুষের টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে তারা।
Leave a Reply