বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
এইচ, এম হেলাল॥ বরিশাল নগরীতে প্রতিবারের মতো ঈদের বাজারে এবার ভির নেই। মাত্র কিছুদিন বাকি থাকলেও ঈদের বাজার খালি। তাতেই মাথায় হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের।
তাঁরা জানাচ্ছেন, লকডাউন থাকায় দোকান গুলোতে তেমন একটা ভির নেই বললেই চলে।অপরদিকে লকডাউনে ঘর মুখোর হয়েছেন নগরবাসী। লকডাউন মেনে চলতে হবে তা না হলে করোনাভাইরাসের আক্রমণ রোখা যাবে না।
কিন্তু তার জন্য বাজারের পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। লকডাউনের নিয়ম কিছুটা শিথিল হতেই নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হয় প্রশাসনের তরফে থেকে।
করোনা ঝুঁকির কারণে বরিশাল সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সাথে বৈঠকে বসেন। চকবাজার ব্যবসায়ী মালিক কল্যাণ সমিতি সদস্যরা বিসিসি মেয়রের আহবানে দোকান-ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে সাড়া দিয়ে তাকে ধন্যবাদ জানান।
এদিকে মহাসিন মার্কেট, সিটি মার্কেট, এলাকায় কিছু দোকান খোলার পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুইটি মার্কেটের সামনে ফুটপাত দখল করে গড়ে উঠেছে পোশাক দোকান। বেশ কিছু স্থানে দোকান খোলা থাকলেও ক্রেতাদের ভিড় নেই সেই অর্থে।
তা ছাড়া অনেক পরিবারের লোকেরা ঈদের কেনাকাটা করতে পাড়ি দিতেন মহাসিন মার্কেট, সিটি মার্কেটসহ বিভিন্ন পোশাক দোকান গুলোতে। কিন্তু এ বছর তা সম্ভব নয়।
সিটি মার্কেটের এক অভিজাত বস্ত্র ব্যবসায়ী সজল হাওলাদার বলেন, ‘‘এখন বেচাকেনার ভরপুর মৌসুম। লকডাউনের কারনে ঈদের বাজার মার খেয়ে গেল। দোকানের কর্মীদের বেতনসহ সব খরচ মিটিয়ে দোকান টিকিয়ে রাখাই মুস্কিল। লকডাউনের কারনে ঢাকায় গিয়ে এবার ঈদের নতুন নতুন পোশাক দোকানে ডিসপ্লে করা হয়নি ।
মনির নামে এক দোকান কর্মচারি বলেন, ঈদের বাজার করা তো দুরের কথা ‘‘দু’বেলা দু’মুঠো খাবার জুটবে কিভাবে?
চকবাজার এলাকার বস্ত্র ব্যবসায়ী জুয়েল বলেন, ‘‘অন্য বছর ঈদের আগে রাজধানী ঢাকা থেকে শ্রমিকেরা ঘরে ফেরে। তাঁদের হাতে টাকা থাকায় বেচাকেনা ভালই হয়। কিন্তু এ বছর দোকান খুললেও তেমন বেচাকেনা নেই।
সুদেপ নামে এক বাসিন্দা বলেন,‘‘লকডাউনের কারণে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে রোজগার বন্ধ। সংসার চালানোটাই কঠিন হয়ে দাড়িয়েছে ঈদের কেনাকাটা তো দূরের ব্যপার।
বরিশাল চেম্বার অফ কমার্স’র সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, সব থেকে বেশি বেচাকেনা হয় ঈদে। কিন্তু এ বছর লকডাউনের ফাঁদে সকল ব্যবসায়ীরা। করোনাভাইরাস শিথিল হলে হয় তো আবার আগের রুপে ফিরে যাবে বরিশাল নগর।
Leave a Reply