বরগুনায় ভিক্ষার চাল বিক্রি করে রেশন কার্ডের জন্য ঘুষ দিয়েছেন ভিক্ষুক Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:০৭ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরগুনায় ভিক্ষার চাল বিক্রি করে রেশন কার্ডের জন্য ঘুষ দিয়েছেন ভিক্ষুক

বরগুনায় ভিক্ষার চাল বিক্রি করে রেশন কার্ডের জন্য ঘুষ দিয়েছেন ভিক্ষুক




বরগুনা প্রতিনিধি॥ প্রধানমন্ত্রী’র মানবিক সহায়তা পেতে রেশন কার্ডের জন্য ভিক্ষার চাল বিক্রি করে দুই হাজার টাকা ঘুষ দিয়েছেন ষাটোর্ধ্ব কোহিনুর বেগম।

 

আর এ টাকা নিয়েছেন বরগুনা সদর উপজেলার ৯ নম্বর এমবালিয়াতলী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শামীম গাজী।

 

স্থানীয়রা জানান, ইউপি মেম্বার শামীম গাজী ও তার বাবা কাদের কাজী রেশন কার্ডে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য জনপ্রতি ৫ শ টাকা করে ওই এলাকার বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে আদায় করে আসছিলেন। এ নিয়ে একই এলাকার সালাম নামের এক ভুক্তভোগী বরগুনা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

 

মঙ্গলবার (১২ মে) বিকেলে অভিযোগের তদন্তে যান বরগুনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান হোসেন। এসময় কোহিনুর বেগম জানান, ইউপি সদস্য শামীম গাজী ও তার বাবা কাদের গাজী তার কাছ থেকে রেশন কার্ডের কথা বলে দুই হাজার টাকা চান। তিনি ভিক্ষাবৃত্তির মাধ্যমে সঞ্চয় করা চাল বিক্রি করে সেই টাকা শামীম গাজীকে দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও রেশন কার্ডে নাম নেই তার।

 

এ ঘটনা জানার পর বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা আক্তার ওই ভিক্ষুককে ডেকে রেশন কার্ডে তালিকাভুক্ত করেন। এদিকে পুলিশি অভিযানের কারণে ইউপি সদস্য শামীম গাজী ও তার বাবা পলাতক রয়েছেন।

 

মঙ্গলবার বিকালে কোহিনুর বেগমের বাড়ি উরবুনিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, ভেঙ্গে চুরে যাওয়া টিনের জোড়াতালির কোনরকম একটি খুপরিতে তিনি একাই থাকেন। স্বামী রুস্তুম আলীর মৃত্যু হয়েছে আরও বছর তিনেক আগে।

ওই এলাকার একাধিক দরিদ্র অসহায় মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, শুধু কোহিনুর বেগম নয় অসহায় আরো অনেকের কাছ থেকে জনপ্রতি ৫০০ থেকে এক হাজার করে টাকা নিয়েছেন ইউপি সদস্য শামীম গাজী ও তার বাবা।

 

একই গ্রামের ড্রেজার শ্রমিক আ. সালাম, দিনমজুর বশির আকন, হেলালমিয়া, এবং সেলিনাসহ একাধিক ভুক্তভোগীর সাথে কথা বললে তারাও একই অভিযোগ করেন।

 

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিৎ সরকার জানান, এ বিষয়ে তাকে কেউ কিছু জানায়নি। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

 

তবে বরগুনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. শাহজাহান জানিয়েছেন, হতদরিদ্র কোহিনুর বেগমের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তাছাড়া গত সোমবার তার কাছে একই এলাকার আব্দুল সালাম নামের একজন ভুক্তভোগী ওই ইউপি সদস্য ও তার বাবার বিরুদ্ধে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। ওই অভিযোগে তিনি আরও অনেকের নাম উল্লেখ করেছেন যাদের কাছ থেকেও প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD