বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৮ পূর্বাহ্ন
বানারীপাড়া প্রতিনিধি॥ কিট সংকটের কারণে বরিশালের বানারীপাড়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মা-মেয়ের সংস্পর্শে আসা সন্দেহভাজনদের নমুনা সংগ্রহ করা যাচ্ছে না।
বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কবির হাসান যুগান্তরকে জানান, তার কাছে সীমিত আকারে কয়টি কিট এসেছে তা দিয়ে পর্যাপ্ত নমুনা সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি জানান, দুটি গ্রুপে ভাগ হয়ে ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে টেস্টের জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠিয়েছিলেন। সেখান থেকে রোববার ১১ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
প্রসঙ্গত করোনায় আক্রান্ত মা-মেয়ে ১৪ এপ্রিল ছোরাবাদ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফিরোজ কিবরিয়ার কাছে ডায়রিয়ার চিকিৎসা নেন। নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা বাজারের ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে শেরে বাংলা বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার মনির হোসেনের কাছ থেকে ইনজেকশন নেন।
১৭ এপ্রিল পুনরায় তারা অসুস্থ হয়ে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠান। ২০ এপ্রিল সকালে তারা বানারীপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে পালিয়ে গিয়ে উদয়কাঠী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ত্রাণের চাল নিয়ে বাড়ি যান।
২১ এপ্রিল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত তারা পুনরায় উদয়কাঠী বাজারে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ান। মা-মেয়ের এই অবাধ ঘোরা-ফেরা কারার কারণে ওইসব এলাকায় তাদের সংস্পর্শে আসা লোকজনের মাঝে করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ধারণা করছেন।
ডা. কবির হাসান বলেন, মা-মেয়ের সংস্পর্শে আসাদের স্বেচ্ছায় হোম কোয়ারেন্টিনে যাওয়ার পাশাপাশি সন্দেহ ভাজনদের করোনা পরীক্ষা করা উচিত। সে ক্ষেত্রে তারা এ পর্যন্ত ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিট সংকটের কারণে এখনও অনেকের নমুনা সংগ্রহ করতে পারেননি বলে তিনি জানান।
Leave a Reply