শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
“লম্পট হাদিসও রাহাতকে নিয়ে মোটা অংকের বানিজ্য”
ভয়েস অব বরিশাল:
প্রেমের নামে স্কুল পড়ুয়া বালিকাদের নিয়ে আমোদ ফুর্তি করার অভিযোগ উঠেছে পৌরসভার জগৎপট্টির মাসুমের( ট্রাক) ছেলে হাদিস(১৮) ও মাছ বিক্রেতা সালামের ছেলে রাহাত(১৯) বিরুদ্ধে। স্থানীয় সুত্র জানায় গত শনিবার স্কুল পড়ুয়া ৭ম শ্রেনীর দুই ছাত্রীকে প্রেমের অভিনয় করে শারীরিক ভাবে জোর করে সুধা পান করে রোমিও সহ ভাড়াটে ধান্দাবাজ চক্র।
লম্পট খ্যাত অক্ষর জ্ঞানহীন হাদিস ও রাহাত ইচড়ে পাকা স্কুল ছাত্রীদের সাথে প্রেম প্রেম খেলা শুরু করে অনেক দিন ধরে। নষ্ট প্রকৃতির রাহাত তার আপন চাচাতো বোন সুটিয়াকাঠীর বালিকার ছাত্রী ( ছদ্দ নাম সুইটি-১৪)কে নিয়ে হানিমুনে যায় কুরিয়ানার সঞ্জিব সিকদারের ছেলে মিঠুন সিকদারের বাসায়।আর বন্ধু হাদিসও নিয়ে যায় স্বরুপকাঠীর বালিকার ছাত্রী (ছদ্দ নাম নীলিমা-১৪) একই বাসায়।
মজার বিষয় একই বাসায় অবৈধ ভাবে মেলামেশা করে চার কপোত কপোতি। তবে চরম লজ্জার বিষয় মুসলিম মেয়েদের ফাঁদে ফেলে বাড়তি স্বাদ নেয় লুচ্চা মিঠুন সিকদার ও নষ্ট চরিত্রের গ্রাম্য চৌকিদার সবুজ। এদিকে দিকে কুড়িয়ানা আটঘর এলাকার ভুরি ভুরি অভিযোগ চৌকিদার সবুজ ও মিঠুন সিকদারের বিরুদ্ধে। এ চক্র এলাকার বিতর্কিত চেয়ারম্যান শেখর সিকদারের লোক হওয়ায় এভাবে বহু ছলাকলা করে নারীদের ইজ্জত নষ্ট করে। স্বরুপকাঠীর উদিয়মান নষ্ট প্রকৃতির দুই রোমিওকে ব্যবহার করে সুকৌশলে স্কুল পড়ুয়া বালিকাকে জোর করে শরীরের গন্ধ নেয়।
বিগত পেয়ারার ছিজনে এলাকায় বহু মেয়েদের ট্রাপে ফেলে চৌকিদার সবুজ ও মিঠুন বাসা বাড়ি ভাড়া দিয়ে বাড়তি মধু পান করে লুচ্চা খ্যাত প্রতারক চক্র। এদিকে অভিযোগ উঠে কিছু নাম ধারী মিডিয়া কর্মীদের বিরুদ্ধেও। নাম না প্রকাশের শর্তে উপজেলার বহু সাংবাদিকরা জানান,গত চার বছর থানা প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তাকে বিতর্কে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সুকৌশলে।এ ব্যাপারে এলাকার বিজ্ঞ মিডিয়ার লোকজন জানান, মিডিয়ার কাজ সত্য ঘটনার চিত্র তুলে ধরা। অথচ এহেন সাংবাদিক কার্ড ধারীরা সমাজের নানান অপরাধকে আবডাল করার টেন্ডার নেয় দালাল হিসাবে। আর প্রশাসন এহেন অক্ষাত সাংবাদিকের ফাদে পড়ে টাকার বিনিময়ে। অভিযোগ উঠেছে ট্রাক দালাল মাসুম ও মাছ বিক্রেতার কাছ থেকে প্রায় এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
মিডিয়ার লোকজন ফোন দিয়ে কথা বলতে চাইলে মাসুম দালাল ও ছালাম ফোন কেটে দেয়। এ ব্যাপারে স্বরুপকাঠী পৌরসভার সচেতন লোকজনরা জানান,স্ব-স্ব পেশার লোকজন (সাংবাদিক ও প্রশাসন) বিবেককে ফাকি দিয়ে অবৈধ টাকার কাছে নত স্বীকার করেছেন। সমাজে মেয়ে নিয়ে অবৈধ ভাবে মেলামেশা করার সুযোগ সৃস্টি করে দিয়েছে হাদিস,রাহাত সহ বহু কুমারী বালিকা বালকদের। নাম না প্রকাশের শর্তে এক কাউন্সিলর জানান,আসলে অপরাধীকে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।
লজ্জার বিষয় দুই প্রেমিক ও দুই প্রতারক দুই মেয়েকে রাত্রে ভোগ করেও পার পেয়ে যাচ্ছে। বিচিত্র সেলুকাছে ভরা আমাদের সমাজ। অথচ আইনের ধারায় এহেন রোমিওদের শাস্তির বিধান করলে হয়তো আগামীতে এভাবে সস্তায় কুমারী স্কুল বালিকাদের নিয়ে হানিমুনে যেতে সাহস পেত না। এদিকে গত শনিবারের জঘন্য ঘটনার কথা শুনে সর্বত্র নিন্দার ঝড় বইছে। হাদিস, রাহাত ও স্কুল পড়ুয়া দুই মেয়ের ঘটনা নিয়ে তোলপাড়। আর প্রশাসনের কিছু কর্মকর্তারা চরম বিতর্কে রয়েছে। তবে প্রশাসন মিডিয়ার সকল প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে যান সুকৌশলে। আমরা এ প্রজন্মের স্বার্থে ছেলে মেয়েদের বাবাদের হাতে তুলে দেই আগামী সুন্দর দিনের কথা ভেবে।
Leave a Reply