সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪৬ পূর্বাহ্ন
পিরোজপুর প্রতিনিধি॥ পিরোজপুরের তিনটি উপজেলায় যোগাযোগের পথে চরম ভোগান্তিতে গ্রামীণ জনজীবন। বিগত পাঁচ বছরেও জোড়া লাগেনি পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর ও নেছারাবাদে অন্তত২০টি ভাঙা ব্রিজ। ভুক্তভোগীরা বলছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে স্থানীয় সাংসদ ও চেয়ারম্যানরা নানা প্রতিশ্রুতি দিলেও আজও কষ্টের অবসান ঘটেনি।
তবে পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য বলছেন, একটি মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে আগামী ১ বছরের মধ্যে এ আসনের প্রতিটি ব্রিজ-কালভার্ট হবে নতুন। এটা প্রতিশ্রুতি নয় বাস্তবে দেখবে জনগণ।
জেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পাড়েরহাট, শংকরপাশা, টোনা, কলাখালী ও কদমতলা ইউনিয়নের, গ্রামীণ জনপদের কয়েক লাখ মানুষ।স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর ব্রিজ ভাঙা থাকায় বাঁশ ও কাঠের বিকল্প সাঁকো দিয়ে পারাপার আবার কোথাও নৌকার মাধ্যমে খাল পারাপার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীর। সবচেয়ে বিপাকে আছে এ অঞ্চলের হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও মৎস্যজীবী ব্যবসায়ীরা।
এ দিকে ব্রিজ নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো ধরনের অগ্রগতি না দেখায় স্থানীয় জনগণ, ব্যবসায়ী, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও পরিবহন চালকরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। সেতুগুলোতে ধারণ ক্ষমতার দেড় থেকে দুইগুণ যানবাহন চলাচল করার কারণে এবং এ বিষয়ে কোনো তদারকি না থাকায় দিনদিন বাকি ব্রিজগুলোও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।
ব্রিজ ভাঙা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে যেমন পড়েছে গ্রামীণ মানুষগুলো তেমনি ক্ষতির মুখে লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই দ্রুত ব্রিজ নির্মাণের দাবি, ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসীর।
পিরোজপুর সদর উপজেলার শংকরপাশা ইউনিয়নে মোট ৪টি ব্রিজ ভাঙা রয়েছে এবং তাতে প্রতিদিন ভোগান্তিতে পড়ছেন প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বললেন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান স্বপন মল্লিক।
তবে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী জানান, শ ম রেজাউল করিম, আগামী এক বছরের মধ্যে পিরোজপুর-১ আসনকে একটি মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে সকল ব্রিজ- কালভার্ট নতুন করে সংস্কার করা হবে। এটা কোনো প্রতিশ্রুতি নয় বাস্তবেই দেখবে জনগণ।পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর, নাজিরপুর, নেছারাবাদ) আসনে প্রায় ২০টিরও বেশি ব্রিজ ভাঙা রয়েছে। তাই বিগত পাঁচ বছরের ভাঙা ব্রিজগুলো পাবে তার পূর্ণরূপ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে এমনটাই প্রত্যাশা ভুক্তভোগীদের।
Leave a Reply