শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৫২ পূর্বাহ্ন
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নিতির সংবাদ গনমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা(ঘটকেরচর)মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সেই বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক নুরে আলমের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। রবিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চেয়ে চিঠি দিয়েছে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস।
ওই চিঠিতে ৭ কর্মদিবসের মধ্যে আনিত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে নিজের কু-কৃতি ঢাকতে উপর মহলে দৌড়-ঝাপ শুরু করেছেন তিনি। তদন্তের সত্যতা স্বিকার করে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথীকা সরকার বলেন, আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যেই মাঠ পর্যায় তদন্তে নামবো আমার। এব্যপারে সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
এদিকে সংবাদ প্রকাশের পরপর গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে প্রধান শিক্ষক নুরে আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছে স্থানীয়রা। নাম প্রকাশে অনচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, প্রধান শিক্ষক নুরে আলম নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত না হয়ে চাঁদপাশা টেকনিক্যাল ম্যানেজমেন্ট স্কুল এন্ড কলেজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত থাকছে হরমায়েশে। তিনি ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ভবানিপুর এলাকার রেখা আক্তার, আরিজা কালিকাপুর এলাকার ফকিরবারির আজাহার মাষ্টারের সন্তানসহ প্রায় ২০জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।
গত ২৬ আগষ্ট বরিশাল থেকে প্রকাশিত দৈনিক পত্রিকা ও ২৫ আগষ্ট কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে নিন্মরুপ সংবাদটি প্রকাশিত হলে জেলা শিক্ষা অফিস উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দেয়
বাবুগঞ্জের চাঁদপাশা (ঘটকেরচর) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরে আলমের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগের হিরিক উঠেছে। নিয়োগ বানিজ্য, বরাদ্দ কৃত টাকা আত্মসাৎ, বিদ্যালয়ে অনিয়মিত, সার্টিফিকেট বানিজ্য, পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে হাজিরা বহিতে স্বাক্ষরসহ প্রধান শিক্ষককে বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এলাকাবাসী, অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ।
অভিযোগ সুত্রে জানযায়, প্রায় ১০ বছর আগে আরিজা কালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে করনিক পদে চাকরি করতেন তিনি। বিভিন্ন জালজালিয়াতির মাধ্যমে প্রধান শিক্ষক বনে যাওয়া মোঃ নুরে আলম বর্তমানে বিদ্যালয়টিকে সাইনবোর্ড বানিয়ে অবৈধ উপার্জনে ব্যস্ত সময় পার করছে। অফিস সহকারি পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে ৪/৫ জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে কয়েক দফায় নিয়োগ দিতে তাল বাহানা শুরু করেন তিনি। এছাড়াও লাইব্রেরিয়ান ও দপ্তরি পদে চাকুরির কথা বলেও কয়েকজনের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্থানিয়রা।
চাকুরি প্রত্যাশিদের চাপের মুখে গত জানুয়ারি থেকে বিদ্যালয়ে আসা প্রায় ছেড়ে দেন। গত ৮ই আগষ্ট কৌশল গত ভাবে এয়ারপোর্ট থানায় একটি অভিযোগ করে পুলিশ নিয়ে বিদ্যালয়ে এসে হাজিরা বহিতে প্রায় ৮ মাসের স্বাক্ষর করেন তিনি। বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অবগত রয়েছেন। বিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজের অজুহাতে দিনের পর দিন অন-উপস্থিত থাকেন তিনি।
এদিকে বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য দুদক থেকে বরাদ্দ কৃত ৩৭৫০ টাকা আত্বসাৎ করায় ক্ষুব্দ হয়ে উঠেছেন ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা।জানা গেছে,দূর্নীতির টাকায় বরিশাল নগরির কাউনিয়ায় কোটি টাকার জমি ক্রয় করেছেন এই বির্তকিত শিক্ষক।
একজন অভিভাবক বলেন, আমার ছেলে ওই বিদ্যালয় থেকে ৮ম শ্রেনি পাশ করেছে। অথচ ৮ম পাশের সার্টিফিকেট আনতে গেলে অফিস খরচ বাবদ ৫০০টাকা আদায় করে।প্রধান শিক্ষক নুরে আলমের সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায় নি।
এব্যপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথিকা সরকার বলেন, বিদ্যালয়ে অনিয়মিতর বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্মকতারা জানে। বিদ্যালয়ে সুপার ভাইজারকে পাঠিয়ে তদারকি করা হচ্ছে। অভিযোগ গুলোর সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply