বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৪১ পূর্বাহ্ন
তানজিল জামান জয় ,কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি ।। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান আ: সালাম সিকদারকে কারন দর্শানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৮আগষ্ট) বিজ্ঞ কলাপাড়া নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও ইউএনও মো: মুনিবুর রহমানের আদালত নারী ইউপি সদস্য সাহানারা বেগমকে খুন জখমের হুমকীর অভিযোগে দায়েরকৃত নালিশী মামলা আমলে নিয়ে এ আদেশ প্রদান করেন।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুন ২০১৯ সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সালাম সিকদার ও তার সহযোগীরা নারী ইউপি সদস্য সাহানারা বেগমকে জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চলমান সিআর-২৩৬/২০১৯ মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে হুমকী সহ মারধর করতে উদ্ধত্ত হয়।
এসময় নারী ইউপি সদস্যের আর্ত চিৎকারে স্থানীয়রা এসে তাকে রক্ষা করে। এতে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা তাকে (নারী ইউপি সদস্য কে) সুযোগ মত পেলে খুন করে তার লাশ গুম করার হুমকী প্রদর্শন করে। এছাড়া তার বসত ঘরে আগুন দিয়া পোড়াইয়া পরিবার পরিজন সহ মিথ্যা মামলায় জেল হাজত খাটানোর হুমকী দেয়। ফলে নারী ইউপি সদস্য সাহানারা ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ায় তার স¦াভাবিক জীবন যাপন ব্যহত হচ্ছে।
এর আগে গত ৩রা এপ্রিল ২০১৯ রাতে ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সালাম সিকদার স্থানীয় প্রেসক্লাব হলরুমে সাংবাদিকদের সামনে নারী ইউপি সদস্য সাহানারাকে ’দুঃশ্চরিত্রে’র নারী বলে তার বিরুদ্ধে মান হানিকর তথ্য সম্বলিত লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
এতে সাহানারা সংক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সালাম সিকদারের বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকার মানহানি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ কলাপাড়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট এএইচএম ইমরানুর রহমানের আদালত নারী ইউপি সদস্যের অভিযোগ আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল তদন্তের আদেশ দেন। পরে জুডিসিয়াল তদন্তে সত্যতা প্রকাশ পেলে বিজ্ঞ আদালত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সমন ইস্যু করেন। মানহানির ওই মামলায় চেয়ারম্যান আদালতে আত্মসমর্পনের পর বিজ্ঞ আদালতের অনুকম্পায় জামিন লাভ করেন।
প্রসংগত; ডালবুগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান সালাম সিকদার ও নারী ইউপি সদস্য সাহানারা পরস্পর আপন চাচাতো ভাই-বোন। জমি জায়গা নিয়ে পারিবারিক দ্বন্দে¦র জেরে চেয়ারম্যান নিজে ও তার সহযোগীদের দিয়ে সাহানারা এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে চুরি, চাঁদাবাজি সহ একাধিক মামলা দায়ের করে।
Leave a Reply