বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:১৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ টানা ১৬ ঘন্টা পরে বরিশাল অভ্যন্তরিন নৌ রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। নৌ যান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে যাত্রীদের মাঝেও স্বস্তি ফিরে এসেছে। বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন বরিশাল অঞ্চলের সভাপতি শেখ আবুল হাসেম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শ্রম অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভা শেষে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আশিকুল আলম নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষনা দেন।
তিনি বলেন, শ্রম অধিদপ্তরের মহা পরিচালক মো. মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে শ্রমিকদের সাথে নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে শ্রমিকদের ১১ দফা দাবী মেনে নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ওই নেতা।
এদিকে কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষনার পর পরই কীর্তনখোলা নদীর মাঝে বার্দিং করা লঞ্চগুলো পন্টুনে ফিরিয়ে আনা হয়। পাশাপাশি যাত্রী নিয়ে অভ্যন্তরিন রুটে চলাচল শুরু হয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসে।
উল্লেখ্য, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, নৌ-যান শ্রমিকদের অন্যান্য দাবীগুলো হলো- বিভিন্ন নৌ-বন্দরে নৌ শ্রমিকদের উপর সন্ত্রাসী হামলার বিচার, মেরিন আইনের যথাযথ বাস্তবায়ন, নৌ পথে প্রয়োজনীয় মার্কা, বয়া ও বাতি প্রদান করা এবং দুর্ঘটনায় মৃত নৌ শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ ১০ লক্ষ টাকা নির্ধারন করা সহ ১১ দফা দাবীতে বরিশাল সহ সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালন শুরু করে নৌযান শ্রমিকরা। বুধবার (২৪ জুলাই) রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন এর ডাকে এই কর্মসূচি পালন শুরু হয়।
এর আগে গত ২০ জুলাই থেকে ১১ দফা দাবী আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনে নামে নৌ-যান শ্রমিকরা। ওই দিন বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে দাবী মেনে নেয়ার জন্য ধর্মঘটের হুশিয়ারী দিয়ে ২৩ জুলাই রাত ১২টা ১ মিনিট পর্যন্ত সময় বেধে দিয়েছিলো শ্রমিকরা।
পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী আজ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। তবে ২২ ঁজুলাই ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা এবং বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী নৌ-যানগুলো ধর্মঘটের আওতায় ছিলো না। সকালে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌছে দেয়ার পর ওইসব লঞ্চের শ্রমিকরাও কর্মসূচিতে যোগ দেয়। এ কারনে বরিশাল থেকে অভ্যন্তরিন রুটে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ ছিলো।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের বরিশাল কার্যালয়ের উপ-পরিচালক এবং বরিশাল বন্দর কর্মকর্তা আজমল হুদা সরকার মিঠু বলেন, সকালে ঢাকার লঞ্চ বরিশালে পৌছালেও শ্রমিক ধর্মঘটের কারনে অভ্যন্তরিন রুটের সকল লঞ্চ বন্ধ ছিলো। তবে বিকাল থেকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বরিশাল থেকে সকল রুটে চঞ্চ চলাচল শুরু করে শ্রমিকরা।
Leave a Reply