শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: চলতি বিশ্বকাপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বার্মিংহামের এজবাস্টনে মঙ্গলবার (০২ জুলাই) শক্তশালী ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সেমিতে উঠার লড়াইয়ে এ ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের সামনে।ম্যাচের আগে সোমবার (০১ জুলাই) ভারতীয় দল অনুশীলন করেনি। সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিনিধিকেও পাঠায়নি। বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে কোহলিদের ভাবনটা কী, সেটা আর জানাই হলো না কারও। নিজেদের দল রেখে বিপুল আগ্রহ নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম তাই কাভার করল মাশরাফি বিন মুর্তজার সংবাদ সম্মেলন।
প্রথা অনুযায়ী প্রতিটি ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে দুই দলের একজন করে প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে দলের অধিনায়কই সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন এবং ম্যাচ নিয়ে নিজেদের ভাবনা ও প্রস্তুতির কথা জানান।
সেই রীতি মেনে বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা সংবাদ সম্মেলনে হাজির হলেন। সাংবাদিকদের নানান প্রশ্নের সাবলীল জবাব দিলেন।হঠাৎ এক ভারতীয় সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন রাজনীতি আর ক্রিকেট মিশিয়ে। প্রথম প্রশ্নটা নিখাদ ক্রিকেটের—টস জেতার ওপর কি ম্যাচ হারা-জেতা নির্ভর করছে? পরের প্রশ্নটা মাঠের নয়, ময়দানের—আগামী ১০-১৫ বছরে আপনাকে কি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখা যেতে পারে?
মাশরাফি বিন মুর্তজার ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা শেষে দ্বিতীয় প্রশ্নে বিশদ উত্তরেই গেলেন না। ওই ভারতীয় সাংবাদিক আবারও জানতে চাইলেন। এবার বাংলাদেশ অধিনায়কের সোজা উত্তর, ‘ওহ, মোটেও না (প্রধানমন্ত্রী হওয়া প্রসঙ্গে)।’
একমাত্র রাজনীতিক, সাংসদ হিসেবে বিশ্বকাপ খেলছেন—ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মাশরাফিকে এত কাছে পেয়ে এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন না করে ছাড়ে! খেলোয়াড় হিসেবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়লেও মাশরাফি বরাবরই খেলার সময় রাজনীতির প্রসঙ্গ আনতে চান না। না চাইলেও যে চলে আসে, সেটেই সংবাদ সম্মেলনে দেখা গেল।
মাশরাফির স্বপ্ন নেই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার, তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভীষণ স্নেহধন্য। বাংলাদেশ খারাপ কিংবা ভালো যেটাই খেলুক, নিয়মিতই প্রধানমন্ত্রী খোঁজখবর নেন। এই বিশ্বকাপেও অনেকবার নিয়েছেন। সাউদাম্পটনে আফগানিস্তানকে হারানোর পর শুধু মাশরাফি-সাকিব নন, তিনি কথা বলতে চেয়েছেন লড়াকু ইনিংস খেলা মুশফিকুর রহিমের সঙ্গেও।
প্রধানমন্ত্রীর একটা কথা মাশরাফিকে ভীষণ অনুপ্রাণিত করে। ক’দিন আগে এক আড্ডায় বাংলাদেশ অধিনায়ক বলছিলেন, গত এশিয়া কাপের ফাইনালের আগে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘের অধিবেশন যোগ দিতে গিয়ে ফোন দিলেন। বললেন, ‘ফাইনাল জিতলে ভালো। না জিতলেও মন খারাপ কোরো না। ভারত অনেক শক্তিশালী দল, হারাতে পারলে অনেক খুশি হবো। না জিততে পারলেও তোমাদের ধন্যবাদ দেব। পুরো টুর্নামেন্টে তোমরা অনেক ভালো খেলেছ।’ আমি তো তখন সাংসদ হইনি বা রাজনীতিতে জড়াইনি। প্রধানমন্ত্রী যখন এমন সাহস দেন, বুকের ছাতি এমনি অনেক বড় হয়ে যায়।
ভারতের বিপক্ষে আজকের ম্যাচটি ঘিরে টাইগার সমর্থকদের মাঝে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এই ম্যাচটি হেরে গেলেই বাংলাদেশি টাইগারদের সেমিতে যাওয়ার স্বপ্ন ভেঙে যাবে। অন্যদিকে এখন পর্যন্ত ১ ম্যাচে হেরে যাওয়া ভারত এই ম্যাচ জিতলেই সেমিতে জায়গা পাবে। ফলে দু’দলের জন্যই ম্যাচটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও ভারতের সামনে সুযোগ থাকবে আরও এক ম্যাচ।
Leave a Reply