বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরগুনার বেতাগীতে জমি বিরোধের জের ধরে দু’গ্রুপের তুমুল সংঘর্ষে ৩৫ জন আহত হয়েছে। গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার কুমারখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ওই এলাকার আতাহার মৃধা ও তার ছেলে মিরাজ, হাসান, ফেরদাউস, তোকাব মৃধা, স্বপন মৃধা, আলমগীর, জাহাঙ্গীর, খলিল মৃধা, মালেকা বেগম, সাজেদা বেগম, জবান আলীর ছেলে খাজা আলম, টুনু, শুভ, হৃদয়, আনিস, রাজু, রাজন, এনাম, জাহাঙ্গীর সরদার, কাদের সরদার, আবুল হোসেনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এছাড়া অন্যান্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বেতাগী থানার ওসি মোঃ কামরুজ্জামান জানান, জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় হামলা ঘটনা ঘটেছে। আহত শাহে আলমের পক্ষে বেল্লাল হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় রাকিব, খাজা আলম, মোঃ হাবিব ও মনিরা বেগম ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে খাজা আলম পুলিশ পাহারায় শেবাচিমে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহত সালাম জানান, বরগুনা বেতাগীর কুমারখালী গ্রামের মৃত আঃ আলী মৃধার ছেলে শাহে আলমের সাথে একই এলাকার জবান আলীর ছেলে খাজা আলম ও তার পরিবারের জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শাহে আলমের জমি জোরপূবর্ক খাজা আলম ও তার সহযোগীরা জোরপূর্বক ভোগদখল করার চেস্টা চালিয়ে আসছে।
এ নিয়ে বিভিন্ন সময় খাজা আলম ও তার সহযোগীরা শাহে আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকিও দেয়। মূলত গত অনেক বছর পূর্বে শাহে আলমের বাবা মৃত আঃ আলী মৃধা জীবিত থাকাকালীন সময়ে খাজা আলমের বাবা জবান আলীর নিকট থেকে প্রায় সাড়ে ৩ একর জমি ক্রয় করে। ওই জমি ক্রয় করার পর আঃ আলী মৃধা নিজ নামে রেকর্ডভুক্ত করান। আঃ আলী মৃধার মৃত্যুর পর পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে শাহে আলম দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি খাজা আলম ও পরিবারের লোকজন ওই জমি বিক্রয় করা হয় নাই দাবি করে আসছে।
এ নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালেও তারা শালিস সমাধা করে দিতে ব্যর্থ হয়। খাজা আলম ও তার পরিবারের লোকজন জোরপূর্বক ওই জমি দখল করে নিবে বলে হুমকি দেয়। এ নিয়ে শাহে আলম ও খাজা আলম পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিরাজমান। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার গত বুধবার কুমারখালী বাজারে শাহে আলমের সাথে খাজা আলমের বাগবিতন্ডা হয়।
একপর্যায়ে খাজা আলম, রাকিব, হাবিব, মনিরা বেগম, টুনু, শুভ, হৃদয়, আনিস, রাজন, এনাম, উজ্জল দাস, জাহাঙ্গীর সরদার, কাদের সরদার, আবুল হোসেনসহ ৪০/৫০ জন অতর্কিত হামলা চালিয়ে আতাহার মৃধা ও তার ছেলে মিরাজ, হাসান, ফেরদাউস, তোকাব মৃধা, স্বপন মৃধা, আলমগীর, জাহাঙ্গীর, খলিল মৃধা, মালেকা বেগম, সাজেদা বেগমসহ আরো ৩৫ জনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ হামলার পর এলাকাবাসী খাজা ও সহযোগীদের উপর হামলা চালিয়ে খাজা আলম, টুনু, শুভ, হৃদয়, আনিস, রাজু, রাজন, এনাম, জাহাঙ্গীর সরদার, কাদের সরদার, আবুল হোসেনকে আহত করে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে তাৎক্ষনিক বেতাগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এদের মধ্যে গুরুতরদের চিকিৎসার জন্য শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
Leave a Reply