রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ অপরাহ্ন
মোঃ আমিন হোসেন (নলছিটি প্রতিনিধি)ঃ প্রতি কেজি ২৬টাকা হারে মণ প্রতি ১০৪০টাকা টাকা দরে সরকারি ভাবে নলছিটির কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা কর্মসূচি শুরু হয়েছে ।
খাদ্য অধিদপ্তর আজ ২১ মে মঙ্গলবার থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় শুরু করেছে।দুপুরে উপজেলা ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহম্মদ আশ্রাফুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কৃষি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ইসরাত জাহান মিলি, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভিন, ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা এইচ এম আনোয়ার হোসেন প্রমুখ ।
এ কর্মসূচিতে কৃষি কার্ডধারীদের কাছ থেকে বর্তমান বাজার দরের চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি মূল্যে সরকার এই ধান ক্রয় করছে। কর্মসূচি আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে।
এবার নলছিটি উপজেলায় কৃষকের কাছ থেকে ১৫১ মেট্রিক টন ক্রয় করা হবে বলে জানাগেছে । ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা এইচএম আনোয়ার হোসেন জানান, কৃষি অফিস থেকে পাঠানো তালিকা অনুযায়ি কৃষকদের কাছ থেকে ১৪ ভাগ আদ্রর্তার চিটা ও ময়লা মুক্ত ধান সংগ্রহ করে সংরক্ষণ করবেন। সরকার এ বছর প্রতি কেজি ধান ২৬ টাকায় ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।
সরকারের ধান সংগ্রহের সময় একটি প্রভাবশালী চক্র সক্রিয় থাকে । এদেরকে পাশ কাটিয়ে কৃষক যাতে সরাসরি ধান বিক্রি করতে পারে সেদিকে নজর রেখে উপজেলা প্রশাসন কৃষি বিভাগের মাধ্যমে সত্যিকারের কৃষকদের কার্ড প্রদান করেন । সরকার সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে খাদ্যশস্য ক্রয় করার জন্য ঘোষণা দিলেও একটি প্রভাবশালী চক্রের কারনে তা ব্যর্থ হয় । ফলে কৃষকরা শস্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হয় । এবার উপজেলা প্রশাসন, কৃষি ও খাদ্য বিভাগের তৎপরতায় সিন্ডিকেট তেমন সুবিধা করতে পারছে না ।
সরাসরি ধান বিক্রিতে তালিকাভুক্ত হওয়া কৃষক মনির হোসেন বলেন, চার বিঘা জমিতে ৭৫ মন ধান উৎপাদন হয়। কিন্তু বাজারে ধানের দাম মনপ্রতি ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকার বেশী পাওয়া যায় না । এবার কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় ইউএনও স্যারের মাধ্যমে এক টন ধান গোডাউনে দেয়ার কার্ড পেয়েছি। এখন আমি বাজার দরের চেয় মণপ্রতি ৫০০ টাকারও বেশি দাম পাবো।
কৃষকরা জানান, এ বছর বিপুল পরিমাণে ধানের ফলন হয়েছে । উপজেলায় এত অল্প পরিমাণ ধান ও চাল ক্রয় তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না ক্রয় মাত্রা বালানোর দাবি জানান তারা। পৌরসভার বৈচন্ডী এলাকার কৃষক আনিচুর রহমান বলেন, নিজস্ব ও বর্গা জমি মিলিয়ে ৪ মেট্রিকটন ধান উৎপাদন হয়েছে । কিন্তু সরকার কিনবে মাত্র দেড় টন ধান ,ফলে বাকি ধান কম দামে বিক্রি করতে হবে।
নলছিটি উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) কৃষি কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মিলি বলেন, কৃষি কার্ডের মাধ্যমে আমরা প্রকৃত কৃষক নির্বাচন করছি। এক্ষেত্রে আমার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের দেয়া চাহিদামত ক্রয়ের বাজেট প্রণনয় করা হয়েছে। একজন কৃষক কমপক্ষে ১২০ কেজি ও সর্বোচ্চ ৩টন ধান সরকারি দরে গুদামে দিতে পারবে । কোনো কৃষকের যদি ধানে আদ্রতা বেশি থাকে, সে পরে ধান শুকিয়ে সঠিক আদ্রতায় এনে দিতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ধান ক্রয়ের জন্য মন্ত্রণালয়ের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে । সে জন্যই আজ থেকে আমরা ধান ক্রয় অভিযান শুরু করেছি। প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে যাতে ধান ক্রয় করতে পারি সেজন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকেও কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। আশা করছি ধান ক্রয় অভিযানের মধ্যে দিয়ে এখানকার কৃষকরা উপকৃত হবে।
Leave a Reply