শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২৫ অপরাহ্ন
সৈয়দ বাবু ॥ মাতৃত্ব কালিন ছুটি ও সুবিধাদি নিয়ে নগরীর ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গুলোর নয়ছয় রেখে দিতে পারছে না সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক বিভাগ। সরকারের আইনকে সরাসড়ি বৃদ্ধা আঙ্গুলি দেখিয়ে বুক ফুলিয়ে চলছে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো। এসকল ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হাসপাতালগুলো। ব্যাক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিক কতৃপক্ষের খামখেয়ালী পনায় নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের চরম মানোবেতর জীবন যাপনের পাল্লা ভারি হচ্ছে দিন দিন। এর পরেও এসকল ব্যাক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বিরুদ্বে কোন ব্যবস্থা নিতে সাহস পাচ্ছে না সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর।
সরেজমিন তথ্য অনুযায়ী, বরিশালে প্রায় দেড় হাজার ব্যাক্তিমালিকানাধীন ছোট বড় প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এতে প্রায় ৩হাজার নারী কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ করছে। সরকারের নিয়মে রয়েছে নারী কর্মকর্তা কর্মচারী গর্ভবতি হলে তাদের ৬মাস বেতনসহ মাতৃত্ব কালিন ছুটি দিতে হবে। তবে বরিশালের অধিকাংশ প্রাইভেট প্রতিষ্টানে সরকারের এ নিয়মকে সরাসড়ি লঙ্গন করছে। এ বিষয়ে নারী কর্মচারী কারো কাছে অভিযোগ করার সাহসও পাচ্ছেনা। তাহলে মালিক কতৃপক্ষ তাকে চাকরী থেকে বহিস্কার করবে। মালিক পক্ষের এমন হুমকির কারনে প্রকাশ্যে নারীরা হারাচ্ছে তাদের ন্যায্য অধিকার। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একটি বেসরকারী হাসপাতালের এক নার্স বলেন, মাতৃত্ব কালিন ছুটির জন্য তিন দিন গুরতে হয়েছে আবার বেতন। ছুটি চাইলেই বলে আপনার পরিবর্তে অন্য লোক নেয়া হবে।
বেতনের কথা বলল্লেতো সাথে সাথে বের করে দেবে। অপর এক নারী কর্তকর্তা বলেন, সরকার আইন করলেই হবে। তা বাস্তবায়ন করবে কে? তবে বরিশালের কায়েকটি হাসপাতালে তিন মাস ছুটির সাথে কিছু টাকা বেতনও দেয়। এর মধ্যে রয়েছে রাহাত আনোয়ার হাসপাতাল। এখানে তিন মাস ছুটি দেয়া হয় এবং দুই মাসের বেতন দেয়া হয়। এ বিষয়ে রাহাত আনোয়ার হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডাঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমাদের প্রতিষ্টান নতুন। তাই আপাদত তিন মাস ছুটি ও দুই মাসের বেতন দেই।
আগমিতে ৬মাস ছুটি দেয়া হবে। এদিকে বরিশাল রয়েল সিটি হাসপতাল প্রা.লি. এর ব্যাবস্থপনা পরিচালক কজী আফরোজ বলেন, মাতৃত্ব কালিন ছুটি চাকুরীজিবি মেয়েদের অধিকার। আমাদের হাসপাতালেও মাতৃত্ব কালিন ছুটির ব্যবস্থা আছে। তবে যারা দেয় না তদেরও দেয়া উচিৎ বলে মনে করেন তিনি। তবে এ বিষয়ে প্রাইভেট প্রতিষ্টানের মালিকরা স্থায়ী ও অস্থায়ী নিয়োগের অযুহাত দেখিয়ে মাতৃত্ব কালিন ছুটির বিষয়টি এড়িয়ে যান। তবে কতদিন কাজ করার পরে একজন কর্মচারী স্থায়ী হবে এ বিষয়ে কোন সঠিক নিয়ম নেই। এত অনিয়ম নিয়ে প্রাইভেট প্রতিষ্টান গুলো কি ভাবে চলছে এমন প্রশ্নের উত্তরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ মাহাবুব বলেন, আমরা জনি নরী কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাতৃত্ব কালিন ছুটিসহ সকল সুবিধা দেয়া হয়। আমদের কাছে কোন অভিযোগ দেইনি কেউ। তবে এ বিষয়টি অত্যান্ত গুর“ত্বপূর্ন একটি বিষয়। এ বিষয়ে আমরা অতি শিগ্রই ব্যবস্থা নেব।
Leave a Reply