বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪৯ অপরাহ্ন
মোঃ মাসুদ সরদার ,গৌরনদী প্রতিনিধিঃ বরিশালের গৌরনদী উপজেলার পূর্ব বেজহার গ্রামের দশম শ্রেণির স্কুলছাত্রী পাপিয়া আক্তার (১৭) নিখোঁজের ২২ দিনেও উদ্ধার হয়নি। এতে করে তার বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যরা উৎকন্ঠায় রয়েছেন।পবিরাদের সদস্যদের দাবি, রাতে বাড়ি সংলগ্ন টয়লেটে গিয়ে আর ফেরেনি পাপিয়া আক্তার। তাকে অপহরণ করেছেন স্থানীয় কয়েকজন।মাহিলাড়া এ এন বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী পাপিয়া আক্তার। তার বাবা পূর্ব বেজহার গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ীর মো. মজিবুল হক মোল্লা।
ওই ছাত্রীর আত্মীয় ও বেজহার গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে পাপিয়া আক্তারকে একই গ্রামের মোকছেদ চোকদারের ছেলে ইব্রাহিম চোকদার (২২) দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করতেন। এ ঘটনায় ইব্রাহিমের বাবার কাছে পাপিয়ার বাবা একাধিকবার অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু এ বিষয়ে তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি। উল্টো বাবার কাছে বিচার যাওয়ায় ইব্রাহিম চোকদার ক্ষিপ্ত হয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে অপহরণের হুমকি দেন।
এ ঘটনায় গত ৩১ জানুয়ারি গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খালেদা নাছরিনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন পাপিয়া আক্তার। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দেন তিনি।পাপিয়ার বাবা মজিবুল হক মোল্লা জানান, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা ২০ মিনিটের দিকে বাড়ি সংলগ্ন টয়লেটে যায় পাপিয়া। সেখান থেকে বখাটে ইব্রাহিম চোকদার ও তার সহযোগীরা মিলে পাপিয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
মজিবুল হকের ভাষ্যমতে, ‘পুলিশের নির্লিপ্ততার ফলে আমার মেয়ের অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে পুলিশ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিলে এ অপহরণের ঘটনা ঘটতনা। পাপিকাকে উদ্ধারে পুলিশ রহস্যজনকভাবে নিরব ভূমিকা পালন করছে।
ফলে আমরা এখন চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে আছি।’গৌরনদী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মাহাবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় অপহৃতের বাবা মজিবুল হক মোল্লা বাদী হয়ে গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ইব্রাহিম চোকদার, তার বাবা মোকছেদ চোকদার ও সহযোগী মোকলেছ চোকদারকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার ও অপহরণকারীকে গ্রেপ্তারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
Leave a Reply