শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন
এইচ এম হেলাল: বরিশাল বিভাগে মাদক ব্যবসা নির্মূল ও মাদক সেবন বন্ধে রেঞ্জ ডিআইজির ক্যারিশমেটিক কার্যক্রম ব্যাপক সফলতার আলোর মুখ দেখছে। মাদকের বিরূদ্ধে পুলিশের আহবানে সাড়া দিয়েছে আমজনতাও। উপায়ান্তর না পেয়ে কিংবা ভালো হওয়ার প্রত্যয়ে দলে দলে মাদক ছেড়ে আলোর পথে আসছে অন্ধকার গলির সহস্র মানুষ।
লোক দেখানো আত্মসমর্পন নয় বাস্তবেই অনেকে স্বাভাবিক সুন্দর জীবন যাপন করছেন। বরিশাল ডিআইজি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৭শত ৭৫ জন মাদক ব্যবসায়ী ও সেবীরা আত্মসমর্পন করেছে। ত্রর মধ্যে মামলার আসামী ৪৪১ জন এবং মামলা ছাড়া ৩৬৪ জন। এদের মধ্যে বরিশাল জেলায় ১৯০ জন, পটুয়াখালী ১৫২, ভোলা ১০৩, বরগুনা ১৩৬, পিরোজপুর ১০০, এবং ঝালকাঠী ৯৪ জন।
আত্মসমর্পনের পরে এসব মানুষকে পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ভাবে পুণঃর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে বিভিন্ন বেসরকারী ফার্মে কাজ প্রদান, রিক্সা/ভ্যান প্রদান, সেলাই মেশিন প্রদান, মাছ ধরার জাল ও সামগ্রী, চায়ের দোকানে সামগ্রী আত্মসমর্পনকারীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। পাশাপশি প্রত্যেকেই রাখা হয়েছে কঠোর নজরদারীর মধ্যে। প্রত্যেক থানার সাব ইন্সপেক্টরদেরকে ট্যাগ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতি শ্র“তি ভঙ্গ করলে নেওয়া হচ্ছে তাক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা। এভাবে ইতিমধ্যেই বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার উপজেলাগুলোতে কমে আসতে শুরু করেছে মাদকের আগ্রাসন।
এ বিষয়ে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম বলেন, মাদক নির্মূলে ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপাশি আত্মসমর্পনে সুযোগ দিয়ে বেশ সুফল মিলছে। আত্মসমর্পনকারী অনেকেই বৈধ আয়ের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে। এরপর তাদেরকে মনিটরিং করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট থানার ওসি প্রত্যেক মাসে একটি সভা করে এবং রিপোর্ট প্রদান করেন।
থানা সাব ইন্সপেক্টরদের ট্যাগ করে দিয়ে নিয়মিত রিপোর্ট গ্রহন করা হয়। সমাজের সকলের আন্তরিকভাবে সহযোগীতা অব্যাহত থাকলে আরো সুফল আসা সম্ভব।
Leave a Reply