শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫০ অপরাহ্ন
ঝালকাঠি প্রতিনিধি:ঝালকাঠিতে গর্ববতী একটি গাভিকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে মাংস বিক্রেতাদের (কসাই) বিরুদ্ধে। তারা গাভিটি জবাই করে মৃত বাচ্চাটি জবাইখানার পাশের ডাস্টবিনে ফেলে রাখে। জবাই করা গাভির মাংস বাজারে বিক্রির অভিযোগ উঠছে কসাইদের বিরুদ্ধে। অাজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হলে বাজারের কসাইরা দুপুরের মধ্যেই মাংস বিক্রি শেষ করে দোকান বন্ধ করে ফেলেন।
জানা যায়, ঝালকাঠির কসাইরা প্রায়ই দুর্বল ও অসুস্থ গরু জবাই করে শহরের বাজারে মাংস বিক্রি করে থাকেন। এ ধরণের অভিযোগ রয়েছে জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার কাছে। সম্প্রতি একটি রুগ্নগরু জবাই করার সময় জেলা প্রশাসক মো. হামিদুল হকের নির্দেশে এক মাংস বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়। এর পরেও মাংস বিক্রেতাদের মনোভাব পরিবর্তন হয়নি। সোমবার ভোরে কসাইদের মধ্যে যে কেউ একটি গর্ববতী গাভিকে জবাইখানায় বসে জবাই করে।
গাভিটির মৃত বাচ্চাটিকে পাশের একটি ডাস্টবিনে ফেলে রাখা হয়। স্থানীয়রা ওই বাচ্চাটি দেখতে পেয়ে পুলিশকে জানায়। বেলা ১২টার দিকেই এ ঘটনাটি জানাজানি হয়।
স্থানীয়রা বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, সুগন্ধা নদীর তীরে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পশু জবাইয়ের জন্য জবাইখানা নির্মাণ করেন। সেখানে প্রতিদিন সকালে বাজারের মাংস বিক্রেতারা পশু জবাই করে। এসময় একজন মসজিদের ইমাম ও পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা কেউ থাকেন না। অনেক সময় মসজিদের ইমামকে দেখা গেলেও পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবদুস ছালামকে কখনোই উপস্থিত থাকতে দেখা যায় না। এ সুযোগে শহরের মাংস বিক্রেতারা রুগ্ন ও গর্ববতী গরু জবাই করে। এসব পশুর মাংস বাজারে বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
দুপুরে শহরের প্রধান বাজারে গিয়ে দেখা যায় এক বিক্রেতার দোকান খোলা রয়েছে। অন্যরা বিষয়টি টের পেয়েই আগেভাগে দোকান বন্ধ করে চলে যান।
ওই বিক্রেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সোমবার সকালে জসিম, কাদের খান, দুলাল ও উজ্জল পাঁচটি গরু জবাই করেছে। এ গরুগুলো ভাল ছিল। তবে শুনেছি, একটি গর্ববর্তী গরু জবাই করা হয়েছে, কিন্তু কারা জবাই করেছে তা আমরা জানি না।
এ দায়িত্ব পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শকের। তিনি সোমবার গরু জবাই করার সময় উপস্থিত ছিলেন না। আমরা গরু জবাই করার আগেই কেউ হয়তো গর্ববর্তী গরুটি জবাই করেছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক আবদুস ছালাম বলেন, যারাই গর্ববর্তী গাভিটিকে জবাই করেছে, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। মাংস বিক্রেতাদের মধ্যে কেউ এ কাজ করে থাকলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঝালকাঠি জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আবদুল হান্নান বলেন, গর্ববর্তী গাভি জবাই করা অপরাধ। এ কাজটি যিনি করেছেন, তিনি অপরাধ করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
Leave a Reply