মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: বাংলাদেশকে দেওয়া ভারতের দ্বিতীয় ঋণরেখার আওতায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন- বিআরটিসি’র জন্য ৩০০ দ্বিতল বাস কিনতে দু’দেশের মধ্যে চুক্তি সই হয়েছে। মঙ্গলবার- ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এ উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের ফরিদ আহমেদ ভূঁইয়া ও অশোক লেল্যান্ডের প্রতিনিধিরা।
এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, মহাসড়কে ধীরগতির গাড়ির সংখ্যা কমিয়ে বড় গাড়ি যুক্ত করতে পারলে সড়ক দুর্ঘটনা অনেকটা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে।
হাইকমিশনার শ্রিংলা বলেন, উন্নয়ন সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের উন্নয়ন সহযোগিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার পরের বছরগুলোতে সামান্য থেকে শুরু করে আকার-আয়তনে বেড়েছে। ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণচুক্তি বাস্তবায়নের সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ ভারতের বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার হয়ে উঠেছে।
‘এই ঋণচুক্তিগুলোতে পরিবহন, সড়ক, রেল, বন্দর, বিমানবন্দর, বিদ্যুৎ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য ও কারিগরি শিক্ষার মতো বিভিন্ন পরিকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। চুক্তিগুলো ছাড়াও ভারত শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পানি, সংস্কৃতি, নগর উন্নয়ন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকগুলো অনুদান প্রকল্প গ্রহণ করছে।’
হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশকে দেওয়া প্রথম ঋণচুক্তির অধীনে বাস্তবায়িত সফল প্রকল্পগুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে ৩০০টি দ্বিতল, ১০০টি একতলা বিশিষ্ট এবং ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাস কেনার প্রকল্পটি স্মরণ করছি। এরপর বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় ২য় ঋণচুক্তির অধীনে ৩০০টি দ্বিতল, ২০০টি এসি বাস এবং ১০০টি একতলা বিশিষ্ট নন-এসি বাস কিনছে। কোনো সন্দেহ নেই, বিআরটিসি বহরে এই অত্যাধুনিক বাসগুলোর সংযোজনের ফলে বাংলাদেশ গণপরিবহন ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ ভারতীয় দ্বিতীয় ঋণচুক্তির অধীনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি) জন্য ৩৫০টি ১৬ দশিমক ২ টন এবং ১৫০টি ১০ দশমিক ২ টন ট্রাক সংগ্রহ করবে।
হাইকমিশনার আরও বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সমুদ্রপথে পণ্য পরিবহন চুক্তির আওতায় ইফাদ গ্রুপ মোংলা বন্দর দিয়ে অশোক লেল্যান্ড গাড়ি আমদানি শুরু করেছে। টাটা মোটরস ও হিরো মোটোকর্পসহ অন্য ভারতীয় মোটরগাড়ি কোম্পানিও বাংলাদেশে একটি দীর্ঘমেয়াদী উপস্থিতি খুঁজছে এবং দেশের মধ্যে উৎপাদন কারখানা স্থাপনে বিনিয়োগ করেছে।
Leave a Reply