সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় আহত অনেকেই এখনো শরীরে স্প্লিন্টারের যন্ত্রণা বয়ে বেড়াচ্ছেন। কেউ টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। কেউ বলেছেন, দল তাঁকে মূল্যায়ন করেনি। হামলায় নিহত কারো কারো পরিবারের সদস্যরা আছেন অর্থকষ্টে। তাঁদের সবাই গ্রেনেড হামলার বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর দেখতে চান।
আমতলী (বরগুনা) : ১৯ বছর ধরে পায়ে স্প্লিন্টার বয়ে বেড়াচ্ছেন ঢাকায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত বরগুনার তালতলীর পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়নের কলারং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সিদ্দিক তালুকদার। এলাকায় তিনি দিনমজুরির কাজ করেন। তিনি বলেন, ‘স্প্লিন্টার এখন মাংসের সঙ্গে মিশে গেছে। মাঝেমধ্যে পায়ে বেশ ব্যথা অনুভব করলেও অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না। পুরোপুরি সেরে ওঠার জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাহায্যের দাবি জানাই।
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) : আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার পরও ১৯ বছরেও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার শেষ না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন ওই হামলায় আহত ও মামলার সাক্ষী কেরানীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বিপ্লব ও রোহিতপুরের সম্রাট আকবর সবুজ। বিপ্লব জানান, তিনি হামলায় আহত হওয়ার পর দেশে ও কলকাতায় চিকিৎসা নেন। কলকাতা থেকে দেশে ফিরে নিয়মিত থেরাপি নিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে নিয়মিত থেরাপি নেওয়া হয়নি। বিপ্লব বলেন, ‘এই মামলার রায় হয়েছে; তবে আসামিদের সাজাটা দ্রুত হোক।
দেবীদ্বার (কুমিল্লা) : ‘আমার ডান পা স্প্লিন্টারে ভরা। ডাক্তাররা ৩৮টির মতো স্প্লিন্টার বের করেছেন।
এখনো অনেক স্প্লিন্টার রয়ে গেছে। রাতে পা বাঁকা করে ঘুমালে সকালে সোজা করতে পারি না। কানের পর্দা এখনো ফাটা, মাঝেমধ্যে কান দিয়ে আওয়াজ বের হয়। অনেক সময় কানে শুনতেও পাই না। স্তব্ধ হয়ে থাকে সব কিছু। আমার পক্ষে যতটুকু সম্ভব, চিকিৎসা করিয়েছি।’ কথাগুলো বলছিলেন ঢাকায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার বাসিন্দা তত্কালীন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আনোয়ার হোসেন খোকন। বর্তমানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার বলেন, ‘দল থেকে আমাকে সহায়তা কিংবা মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ এখনো কোনো কোনো রাতে ব্যথায় ঘুমাতে পারি না।’
লক্ষ্মীপুর : ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা এবং হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের রায় দ্রুত কার্যকর করার দাবি জানিয়েছেন আবুল কাশেম। তিনি ওই ঘটনায় আহত ও প্রত্যক্ষদর্শী। কাশেম লক্ষ্মীপুরের দক্ষিণ হামিছাদী ইউনিয়নের গঙ্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি ‘আইভি কাশেম’ নামেই পরিচিত। দুই পা বিচ্ছিন্ন আইভি রহমানকে আগলে ধরে বসে ছিলেন কাশেম। তাঁর স্ত্রী তাহমিনা আক্তার লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান।
Leave a Reply