শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৬ অপরাহ্ন
বানারীপাড়া প্রতিনিধি॥ বয়সের ভারে মানুষ’র পদপিষ্ট আর যানবাহনের চাকার চাপে বুকের ভিতরে অসখ্য ক্ষত নিয়ে বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকটি রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে।
তার মধ্যে উপজেলার বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ লাগোয়া ব্রিজ হয়ে বুড়িহারি খেয়াঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি দীর্ঘ ২০ বছরেও কোন প্রকার সংস্কার না হওয়ায় একাধিক গর্তের সৃষ্টি হয়ে বিভিন্ন গাছ জন্ম নেয়ায় সেখানে বাগান বাড়িরমতো অবস্থা হয়েছে।
পৌর শহরের মাঝ দিয়ে বয়েচলা সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম জনপদ বাইশারী ইউনিয়নের ওই রাস্তার অবস্থা সরেজমিনে দেখলে আশ্চর্য্য না হয়ে রীতিমতন আৎকে উঠবেন যে কেউ। ইটের তৈরী রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে শুধু ঝোঁপঝাড়ই সৃষ্টি হয়নি বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে পড়ে,দেবে গিয়ে ও অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়ে রীতিমত মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বার বার আবেদন নিবেদন করার পরে সম্প্রতি ওই রাস্তা পাকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
কিন্তু রহস্যজনক কারণে রাস্তার প্রায় ৩শ মিটার দৈর্ঘের কাজ অসমাপ্ত রেখে সেই উন্নয়ন কাজ ঘুরিয়ে দক্ষিণ বাইশারী গ্রামের ভিতরে অন্য একটি রাস্তায় প্রায় ২ শত মিটার পাকা করায় হতবাক হয়েছেন স্থানীয়রা। ফলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের কাজলাহার বাজার থেকে সন্ধ্যা নদী পাড় হয়ে বুড়িহাড়ি খেয়াঘাট হয়ে বাইশারী যাওয়ার যাত্রীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। এছাড়া ওই এলাকার কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক,শিক্ষার্থী,স্থানীয় লোকজন এবং কয়েকটি ইটের ভাটার শত শত শ্রমিককে আংশিক কাজ করা ওই রাস্তা দিয়ে দুভোর্গের মধ্যে চলাচল করতে হয়।
এদিকে অভিযোগ রয়েছে ওই রাস্তার বুড়িহারি খেয়াঘাট এলাকায় রাস্তার ওপর প্রায় একশ মিটার অবৈধভাবে দখল করে একটি ইট ভাটা নির্মাণ করা হয়েছে। ওই ইটভাটার প্রভাবশালী মালিক রাস্তার অবৈধ দখল বহাল রাখতে ও মূল রাস্তার কাজ অসমাপ্ত রেখে তার নিজ বাড়ি যাওয়ার রাস্তা পাকাকরণের কাজ করাতে নেপথ্যে ভূমিকা রেখেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
এলজিইডির বানারীপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান সন্ধ্যা নদী ভাঙ্গার কারণে রাস্তাটি সম্পূর্ণ পাকা করা সম্ভব হয়নি।
এদিকে সরেজমিন দেখা গেছে ওই এলাকায় বর্তমানে নদী ভাঙন নেই। এছাড়াও যেখানে রাস্তার কাজ অসমাপ্ত রাখা হয়েছে সেখান থেকে নদীর দূরত্ব প্রায় ৩শ মিটারের অধিক।
Leave a Reply