রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
পিরেজপুর প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় প্রবাসী স্বামী পরিত্যাক্ত ৩ সন্তানের জননী মোসা. রানী বেগম (৩৭) স্বামীর ১০ লাখ টাকার ঋণ নিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। রানী বেগম বুধবার দুপুরে মঠবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বামী মো. এমাদুল হকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন। রানী বেগম পূর্ব সাপলেজা গ্রামের মো. ফারুক মিয়ার মেয়ে।
লিখিত বক্তব্যে রানী বেগম জানান, ১৫ বছর পূর্বে তার পিতা একই গ্রামের আলতাফ হোসেনর প্রবাসী ছেলে মো. এমাদুল হকের সাথে বাড়ির আসবাবপত্র ও স্বর্ণালংকারসহ বিয়ে দেয়। বিয়ের পর তামান্না আক্তার (১৩), মারিয়া আক্তার (৮) ও আবদুল্লাহ আবু তালেব (৪) নামে তাদের ৩ সন্তান জন্ম নেয়। এ সময় এমাদুল আকামা করার কথা বলে স্ত্রী রানীকে দিয়ে জমি বন্ধকের লিখিত দিয়ে বিভিন্ন জনের নিকট থেকে ১০ লাখ টাকা নেয়। এর পরই এমাদুল হক স্ত্রী সন্তানদের সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় এবং মঠবাড়িয়া পৌর শহরের পার্লার ব্যবসায়ি লাভলী বেগমকে বিয়ে করে।
এমাদুল টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়ায় রানী বেগম ৩ সন্তানের লেখাপড়ার খরচ এবং ভরণ পোষন চালাতে না পেরে বর্তমানে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। স্বামীর ১০ লাখ টাকার দেনাদারদের তাগাদার ভয়ে সে এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে। রানী বেগম ঋন পরিশোধ ও ভরণ পোষনের জন্য তার স্বামীকে বাধ্য করার জন্য প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সমাজ সেবক প্রধান শিক্ষক (অবঃ) মো. আফজাল মিয়া, চাচাত ভাই মো কামাল হোসেন হাওরাদার ও মো. হারুন অর রশিদ প্রমুখ।
Leave a Reply