মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩২ অপরাহ্ন
থানা প্রতিনিধি॥ বরিশালের আলোচিত ট্রাক চাপায় নিহত হওয়া ট্রাফিক সার্জেন্ট কিবরিয়া হত্যা মামলায় আটককৃত ট্রাক চালক ঘাতক জলিল মিয়ার একদিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে। গত ২২ জুলাই ঘাতক জলিলকে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরণ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বন্দর থানার এস আই মোঃ আব্দুল মালেক।
সূত্রে যানা গেছে ,ঘাতক জলিলকে জিজ্ঞাসাবাদে মামলা সংক্রান্তে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল মালেক জানান, অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে ঘাতক জলিল। যা মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রকাশ করা যাবেনা ।
তিনি জানান, আসামী জলিল মিয়াকে আরো ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে বিজ্ঞ আদালতে । ২৫ জুলাই বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির কথা রয়েছে বলে যানান তদন্তকারী এই কর্মকর্তা ।
উল্ল্যেখ্য যে, গত ১৫ জুলাই সকাল থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের কর্ণকাঠি জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে পটুয়াখালীগামী যমুনা গ্রুপের বেপরোয়া গতির একটি কাভার্ডভ্যানকে (ঢাকা-মেট্রো-উ-১২-২০৫৪) থামার সংকেত দেন সার্জেন্ট কিবরিয়া।
কাভার্ডভ্যানটি ট্রাফিকের সংকেত অমান্য করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কিবরিয়া একটি মোটরসাইকেলে ধাওয়া করে কাভার্ডভ্যানটির সামনে গিয়ে ফের তাকে থামার সংকেত দেন। কাভার্ডভ্যানচালক জলিল মিয়া এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী সার্জেন্ট কিবরিয়াকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে তার দুই পায়ের চারটি স্থান ভেঙে যায় এবং মূত্রথলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ঝালকাঠির নলছিটি থানা পুলিশ ধাওয়া করে চালক জলিল সিকদারসহ কাভার্ডভ্যানটি আটক করে।
কিবরিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে ঢাকায় আনা হয়। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কিবরিয়াকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই তাকে জরুরি বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। পরদিন সকালে আইসিইউতে মারা যান গোলাম কিবরিয়া।
Leave a Reply