বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:০১ পূর্বাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ গাজীপুরের শ্রীপুরে বেড়াতে এসে এক কিশোরী ধর্ষণচেষ্টা ও শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলি গ্রামের সাতসমুদ্র নামক একটি প্রজেক্টের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত রেজাউল (৩০) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের তালতলি গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে। সে ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাড়ি গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার গাঘিয়া গ্রামে। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় বাবার কর্মস্থল গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তালতলি গ্রামে বেড়াতে আসে ওই কিশোরী। কিশোরীর বাবা উপজেলার তালতলি গ্রামে সাতসমুদ্র নামক প্রজেক্টে নয় মাস যাবৎ কেয়ারটেকার হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন। সাতসমুদ্র নামক প্রজেক্টের মালিক ঢাকার এক বাসিন্দা হাসিনা বেগম। প্রজেক্ট দেখা শোনার দায়ীত্বে রয়েছেন ওই কিশোরীর বাবা।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানান, গত ঈদুল আযহায় ঢাকা থেকে বাবার কাছে বেড়াতে আসে। আসার কিছুদিন পর থেকে বখাটে রেজাউল তাকে প্রায়সময়ই বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতো। অনেক বার বাধা নিষেধ করলেও তার বখাটেপনা থামেনি। শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রেজাউল সাতসমুদ্র প্রজেক্টের ভেতরে ঢুকে কিশোরীর কাছে পানি চায়। পরে কিশোরী ঘরে গেলে রেজাউল ওই কিশোরীর পিছনে ঘরে গিয়ে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় কিশোরীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে অভিযুক্ত রেজাউল পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর বাবা জানান, ধর্ষণের চেষ্টা ঘটনাটি প্রথমে স্থানীয়ভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। পরে ঘটনাটি সম্পর্কে জানাজানি হলে এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, আমরা থানায় যাওয়ার জন্য চেষ্টা করলেও এলাকার কিছু লোক আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়। এলাকায় সমাধান না হলে প্রজেক্টে চাকরি করতে পারবনা বলেও হুমকি দেয়া হচ্ছে। তাই এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ওসি খোন্দকার ইমাম হোসেন বলেন, কিশোরীকে ধর্ষনের চেষ্টার ব্যাপারে এখনো কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply