রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক:নগরীতে এক সন্তানের জননী এক গৃহবধূ রহস্যজনকভাবে মারা গেছেন। ঘটনার পর পরই ওই গৃহবধূর মৃতদেহ শেবাচিমের লাশ ঘরে রেখে আত্মগোপন করেছে নিহতের স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। ফলে এটিকে পরিকল্পিত হত্যা বলে অভিযোগ করেছেন নিহতর স্বজনরা। নিহত গৃহবধূর আমেনা আক্তার ঝুমা (২২) নগরীর বান্দ রোডস্থ কেডিসি এলাকার বাসিন্দা মিলন হাওলাদারের স্ত্রী।নিহতের ভাই মফিজুল ইসলাম জানান, শুক্রবার দিবাগত গভীর রাতে শেবাচিম হাসপাতালে গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। সূত্রমতে, বিগত সাত বছর পূর্বে সদর উপজেলার চরমোনাই এলাকার বাসিন্দা খোরশেদ মীরের কন্যা আমেনা আক্তার ঝুমার বিয়ে হয় নগরীর কেডিসির বাসিন্দা নুর মোহাম্মদের পুত্র মিলন হাওলাদারের সাথে। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা গৃহবধূর উপর শারিরিক নির্যাতন শুরু করে।
মফিজুল ইসলাম জানান, ঘটনার দিন শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১১টার দিকে মিলনের সাথে ঝুমার বাগ্বিতন্ডা হয়। এ সময় ঝুমাকে মারধর করে মিলন। এতে ঝুমা অসুস্থ হয়ে পরে। তখন মিলন তাকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে বাহিরে বেরিয়ে যান। পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঝুমাকে তার স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক ঝুমাকে মৃতবলে ঘোষনা করেন।তিনি আরও জানান, ঝুমার মৃতদেহ লাশ ঘরে নেয়ার পর পরই হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় মিলন ও তার পরিবারের সদস্যরা।কোতয়ালি মডেল থানার এসআই ফরিদ আহমেদ বলেন, এটি হত্যা কিনা সেটা এখনও আমরা নিশ্চিত নই। তবে বিষক্রিয়ার কারণে গৃহবধূর হাতের আঙুল ও নখ হলুদ হয়ে গেছে। অবশ্য ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী বা শ্বশুর পরিবারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। যে কারণে মৃত্যু নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তাই লাশের ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই মৃত্যুর রহস্য বেরিয়ে আসবে।
Leave a Reply