সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন
আমতলী প্রতিনিধি॥ শিক্ষা বছরের ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো তিন শ্রেণীর সরকারি পাঠ্য বই পায়নি আমতলী উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। বই না পাওয়ায় উপজেলার ২৩ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী আরো পিছিয়ে পড়বে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা। তারা দ্রুত বই পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিকের ৪৬টি বিদ্যালয় এবং ২৯টি দাখিল মাদরাসার ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণীতে ১৫ হাজার ৩০০ এবং মাদরাসায় ৮ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। তাদের মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান শাখায় দুই লাখ ১৭ হাজার ৫০০ এবং মাদরাসার শিক্ষার্থীদের এক লাখ ২১ হাজার ৮০০ বইয়ের চাহিদা রয়েছে। ১ জানুয়ারি অনানুষ্ঠানিক বই উৎসবে ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের হাতে সব বিষয়ের বই তুলে দেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। কিন্তু গত ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সপ্তম, অষ্টম শ্রেণীর বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং নবম শ্রেণীর বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই ছাড়া অন্য কোনো পাঠ্য বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে পারেনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন। আর মাদরাসায় চাহিদার বিপরীতে মাত্র ১১ হাজার ৫০০ বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। অবশিষ্ট এক লাখ ১১ হাজার ৩০০ বই না আসায় মাদরাসার তিন শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা বই পায়নি।
আমতলী এমইউ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বিয়ন্তি, মণিষা, অভিষেক ও অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থী রেফায়েত, সাওদাসিফা ও রিপা বলেন, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ বিশ^ পরিচয় বই পেয়েছি। আর কোনো বই পায়নি।
বই না পাওয়ায় আমরা লেখাপাড়ায় পিছিয়ে যাচ্ছি। দ্রুত বই দেয়ার দাবি জানান তারা। তারিকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বায়েজিদ ও চাঁদনি আক্তার বলেন, বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই পেয়েছি মাত্র। বিজ্ঞান শাখার বই না পাওয়ায় আমরা পড়তে পারছি না।
আমতলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক মিলন বলেন, ষষ্ঠ শ্রেণীর সব এবং সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণীর আংশিক পাঠ্য বই পেয়েছি। ওই বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, মাদরাসায় মাত্র ১১ হাজার ৫০০ বই পেয়েছি।
মাদরাসা এবং স্কুলের চাহিদা অনুযায়ী বই এখনো পাইনি। তবে অল্প দিনের মধ্য পেয়ে যাবো। বই পাওয়া মাত্রই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। বছরের শুরুতে লেখাপড়ায় কিছুটা ঘাটতি হলেও শিক্ষার্থীরা তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করছেন তিনি।
Leave a Reply