বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ শাহাবুদ্দিন হাসপাতাল মামলায় এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি হাসপাতালের এমডি ফয়সাল আল ইসলাম (৩৪)কে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের মুখপাত্র লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ ।
সোমবার রাতে রাজধানীর একটি হোটেল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে র্যাব রাজধানীর গুলশান থানায় ফয়সালসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে। ফয়সাল হাসপাতালটির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাহাবউদ্দিনের বড় ছেলে।
রোববার হাসপাতালে অভিযানের সময় গ্রেপ্তার দুই কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল হাসনাত, কর্মকর্তা সাহরিজ কবির সাদিকে আটক করা হয়। এ দুজনকেও এই মামলার আসামি করে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলায় সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগে থেকে জানা যায়, করোনা নেগেটিভ রোগীকে পজিটিভ রোগী বলে চিকিৎসা দেওয়াসহ পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়া এবং অনুমোদন না নিয়েই র্যাপিড কিট দিয়ে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা করিয়ে আসছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এ ছাড়াও আবুল হাসনাত নন–কোভিড ও কোভিড রোগীদের এক পরীক্ষা চারবার দেখিয়ে বিল করেছেন। একাধিকবার করোনা পরীক্ষার সনদ রোগীর ফাইলে সংযোজিত পাওয়া যায়নি। মামলায় আরও চার-পাঁচজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, হাসপাতালটি মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি করে আসছিলো রোগীদের কাছে। এ ঘটনায় সারওয়ার আলম প্রতিষ্ঠাটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। হাসপাতালের পাঁচটি অপারেশন থিয়েটার রয়েছে। একটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি মেয়াদোত্তীর্ণ সার্জিক্যাল টিউব পান ।
এগুলোর একটি ২০০৯ সালে, দুটি ২০১১ সালে এবং একটি ২০২০ সালের এপ্রিলে মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এসব টিউব সাধারণত অপারেশনে অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ার সময় রোগীর শ্বাসনালিতে ঢোকানো হয়। এ ছাড়া হাসপাতালের লাইসেন্স গত বছর শেষ হয়ে যায়।
এসবের সঙ্গে সাহাবউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ফয়সাল, সহকারী পরিচালক আবুল হাসনাত ও শাহরিজ কবির জড়িত।
Leave a Reply