মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৮ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক ॥ সৌদি আরব সামাজিক সংস্কারের অংশ হিসেবে আরও দুটি অ্যালকোহল স্টোর বা ‘মদের দোকান’ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রয়টার্সের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে এমন কয়েকটি সূত্র। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি দোকান স্থাপন করা হবে আরামকোর ধাহরান কম্পাউন্ডে কর্মরত অমুসলিম বিদেশিদের জন্য এবং আরেকটি জেদ্দায় কূটনীতিকদের জন্য।
গত বছর রিয়াদে প্রথম অ্যালকোহল স্টোর চালুর পর এটি হবে আরও বড় সম্প্রসারণের পদক্ষেপ। রিয়াদের দোকানটিতে শুরুতে কেবল কূটনীতিকদের প্রবেশাধিকার থাকলেও পরে ‘প্রিমিয়াম রেসিডেন্সি’ধারী অমুসলিমরাও গ্রাহক হিসেবে যুক্ত হন। এই রেসিডেন্সি পাওয়া যায় উচ্চ বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা এবং বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন বিদেশিদের জন্য।
সূত্র জানায়, ধাহরানের দোকানটি আরামকোর মালিকানাধীন, যেখানে শুধু অমুসলিম কর্মীদেরই প্রবেশাধিকার থাকবে। আরেকটি দোকান জেদ্দার কনস্যুলেট জোনে স্থাপন করা হবে, যা বিদেশি কূটনীতিকদের জন্য নির্দিষ্ট। দুই দোকানই সম্ভবত ২০২৬ সালে চালু হবে, যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো দেওয়া হয়নি।
ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বাধীন সামাজিক ও অর্থনৈতিক সংস্কার প্যাকেজ দেশটির কঠোর ইসলামি বিধিনিষেধ শিথিল করছে। নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি, সিনেমা হল খোলা, কনসার্ট, মরুভূমিতে ডান্স ফেস্টিভ্যাল আয়োজন—এসব পরিবর্তনের পর এবার অ্যালকোহল নীতিতেও সতর্কভাবে শিথিলতার ইঙ্গিত দিচ্ছে সৌদি সরকার।
তবে অ্যালকোহল সাধারণ সৌদি নাগরিকদের জন্য এখনো নিষিদ্ধ। কূটনৈতিক ব্যাগেজ, কালোবাজার এবং ‘হোমমেড’ ব্যবস্থাই ছিল দীর্ঘদিন অমুসলিমদের বিকল্প। উপসাগরীয় অনেক দেশে নির্দিষ্ট সীমায় অ্যালকোহল বৈধ হলেও সৌদি আরব এখনও সংবেদনশীল অবস্থানে রয়েছে।
পর্যটন বাড়াতে এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারী আকর্ষণে শিথিলতার প্রয়োজন বলে মনে করা হলেও সরকার এখনো অ্যালকোহল নীতিতে সতর্ক। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে পর্যটনমন্ত্রী আহমেদ আল-খাতিব বলেন, “অনেক আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারী অ্যালকোহল চান, তবে এখনো কোনো পরিবর্তন হয়নি।” ভবিষ্যতে পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে কি না—এ প্রশ্নে তিনি বলেন, “এটা আপনি যেভাবে ব্যাখ্যা করবেন।”
Leave a Reply