রাস্তা :বরগুনায় ব্যাপক অনিয়ম Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:৪১ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




রাস্তা :বরগুনায় ব্যাপক অনিয়ম

রাস্তা :বরগুনায় ব্যাপক অনিয়ম

বরগুনায় ব্যাপক অনিয়ম চলছে রাস্তা পাকা করনের কাজে




বরগুনা প্রতিনিধি॥ বরগুনা সদর উপজেলার ২ নং গৌরিচন্না ইউনিয়নের লাকুরতলা-রোডপাড়া সড়কে খানবাড়ি ব্রিজ হতে আব্দুল খবির মিয়া বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কাজে ব্যাপক অনিয়ম চলছে। গত ২ জুলাই ২০২০ তারিখে রাস্তা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় যে, মনসাতলী খান বাড়ি ব্রীজ হতে আব্দুল খবির মিয়ার বাড়ি পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার রাস্তা পাকা করনের কাজ পান মেসার্স মহিউদ্দিন আহমেদ নামক পটুয়াখালী জেলার একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা কোনরূপ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করেই রাস্তা নির্মাণ করছে। রাস্তার প্রথম লেয়ারে WBM Compaction না করেই দ্বিতীয় লেয়ারের খোয়া ফেলা হচ্ছে। নিম্নমানের ইটের খোয়ার সাথে এক-তৃতীয়াংশ কাদা মাটি ফেলা হচ্ছে রাস্তায়।

 

 

রাস্তায় দায়িত্বে থাকা বরগুনা সদর উপজেলা এলজিইডির উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ার হোসেনকে ফোন করলে তিনি তাৎক্ষণিকভাবে রাস্তা পরিদর্শনে যান। তিনি রাস্তায় গিয়ে হতবাক হয়ে সাংবাদিকদের জানান যে, এরকম নিম্নমানের কাজ তিনি কখনো দেখেননি। তিনি বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলী কে অবহিত করেন এবং রাস্তার কাজ বন্ধ রাখতে মৌখিক নির্দেশ দেন।

 

 

এসও আনোয়ার হোসেনের পরিদর্শনের পরে গত ৪ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দে উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি বরগুনা সদর এর স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেয়া হয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স মহিউদ্দিন আহমেদকে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, “নির্মাণ কাজের প্রথম লেয়ার WBM Compaction না করে দ্বিতীয় লেয়ারের খোয়া ফেলা এবং কাদাযুক্ত খোয়া কোনক্রমেই ফেলা যাইবে না। প্রথম লেয়ার WBM Compaction করিয়া এবং কাদাযুক্ত খোয়া পানি দিয়ে পরিষ্কার করিয়া বেডে ফেলার জন্য বলা হইল।” চিঠি প্রদানের পরে রাস্তায় গিয়ে দেখা যায় যে খোয়ার সাথে এক-তৃতীয়াংশ কাদামাটি আছে। সামান্য পানি দিয়ে রাস্তার উপরে খোয়া ধুয়ে কিছুটা পরিষ্কার করা হচ্ছে। যেখানে কাদার পরিমাণ অনেক বেশি সেখানে নতুন খোয়া দিয়ে ঢেকে দেয়া হচ্ছে।

 

 

এলাকাবাসীর বক্তব্য দীর্ঘদিন পরে রাস্তাটি হওয়ায় আশার আলো দেখছিলেন তারা কিন্তু এভাবে মাটি দিয়ে রাস্তা বানানো হলে কয়েকদিন পর তা নষ্ট হয়ে যাবে। তারা বার বার বলা সত্ত্বেও ঠিকাদারের লোকজন কোন কথাই শুনছেন না।

 

 

উপজেলা প্রকৌশলী এলজিইডি বরগুনা সদর মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমি চিঠি করে তাদেরকে কাদা পরিষ্কার করে ফেলতে বলেছি এরপরেও তারা কাদাযুক্ত খোয়া ফেললে আমি লোক পাঠিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ মহিউদ্দিন আহমদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD