শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩০ পূর্বাহ্ন
রাজাপুর প্রতিনিধি ॥ঝালকাঠির রাজাপুরে ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে কোরবানির গরুর হাট জমে উঠেছে। উপজেলার সবচেয়ো বড় ও পুরাতন গরুর হাট বাগড়িতে প্রতি বৃহস্পতি ও রোববার দুপুরের পর হাট মেলে। হাটে এখন বিপুল পরিমান গরুর উপস্থিতি এবং ক্রেতাদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন গ্রামেও গরু বিক্রি হচ্ছে বাড়িতে বাড়িতে। গৃহস্থালী, ফরিয়া ও পাইকাররা এখন গ্রাম্য খামারে পারিবারিকভাবে পালন করা পশু বাড়িতে গিয়ে ক্রয় করে বাজারে উঠাচ্ছে। নলছিটির গরু ব্যবসাযী (পাইকার) মোঃ কবির হোসেন জানান, নলছিটির শ্রীরামপুর থেকে রাজাপুরের বাগড়ি হাটে এসেছি গরু কিনতে।
কোরবানির হাটে বিক্রি করবো। ভারতের গরু না আসায় এখন দেশি গরুর চাহিদা বেশি থাকায় দামও বেশি। গ্রামে গ্রামে খোঁজ নিয়ে কয়েকটি গরু কিনেছি কোরবানির হাটে বিক্রি করার জন্য। আব্দুল কাদের ব্যাপারী জানান, পারিবারিক গরু লালন-পালনকারীরা বাজারে আসতে শুরু করেছে। যারা নিয়ে আসছে তারা দাম চাচ্ছে অতিরিক্ত। গত ১০ দিন আগের তুলনায় প্রতিটি গরুতে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা দাম বেশি চাচ্ছে। তাই খামারীদের বাড়িতে খোজ নিয়ে তাদের সাথে যোগাযোগ করে গরু কিনছি। গরু বিক্রি করতে আসা রাজাপুরের কানুদাসকাঠি গ্রামের আনছার উদ্দিন জানান, আমার গোয়ালে ২ টি গরু আছে। যা কোরবানিতে বিক্রি করবো। রাজাপুরের বাগড়ি হাটে গরু নিয়ে এসেছি ষাড় গরুটা ৮৫ হাজার টাকা হলে বিক্রি করবো।
কিন্তু এখন পর্যন্ত ৭০ হাজার টাকা দাম বলেছে। আরেক বিক্রেতা মহসিন আলী জানান, কোরবানীতে বিক্রির জন্য ৩ মাস আগে একটি উন্নত জাতের গরু কিনেছি। বাগড়ি বাজারে নিয়ে গেছিলাম দর দেখাতে। ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দর বলেছে। আমি সর্বনি¤œ ১ লাখ ১লাখ ৪০ টাকা হলে গরুটি বিক্রি করবো। রাজাপুর বাগড়ি হাটের ইজারাদার মোঃ ইলিয়াস সিকদার জানান, কোরবানির হাট জমে উঠতে শুরু করেছে। কিছু কিছু গরু এবং বেচা-বিক্রিও মোটামুটি হচ্ছে। পাইকাররা বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে খোজ নিয়ে গরু কিনে নিচ্ছে। এখন হাটে গরুর পুরোপুরি বেচাবিক্রি শুরু হয়েছে। কোরবানি আসতে দিন যত কমবে বেচাকেনা তত বেশি হবে।
এ হাটে ২ থেকে ৩ কোটি টাকার গরুসহ কোরবানির জন্য অন্যান্য পশু বিক্রি হবে। জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল হান্নান জানান, এ জেলার ৪ টি উপজেলায় বাণিজ্যিক ও পারিবারিকভাবে ৫শ ৫৪ জন জনে ৪ হাজার ৫শ ৮৯ টি গরু কৃমিনাশক ঔষধ, ভিটামিন ইনজেকশন ও উন্নত মানের খাবার দিয়ে প্রাকৃতিক খাদ্যোপাদানে মোটাতাজা করছে।
কোরবানি উপলক্ষ্যে এ জেলায় মোট কোরবানি পশুর চাহিদা রয়েছে ৪৬ হাজার৮শ ৪৭ টির। এরমধ্যে ৩৭ হাজার ৬শ ২১ টি গরু এবং ছাগল-ভেড়া ৯ হাজার ২শ ২৬ টি। রাজাপুর থানার ওসি শামসুল আরেফিন জানান, জাল নোট পরীক্ষা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের টহল টিম কাজ করছে।
Leave a Reply