মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনার পর নগরী থেকে ময়লা-আবর্জনা যাচ্ছে না। হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহকে আসামি করায় নেতাকমীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে।
শুরু থেকে হামলার ঘটনার সঙ্গে বিসিসির পরিচ্ছন্নকর্মীরা জড়িত ছিলেন। তাছাড়া মামলায় অজ্ঞতনামাদের আসামি করা হয়েছে। তাই গ্রেফতার আতঙ্কে পরিচ্ছন্নকর্মীরা আত্মগোপনে রয়েছেন। বুধবার রাতের সংঘর্ষের পর থেকে নগরীর ময়লা আবর্জনা অপসারণ বন্ধ রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা বলতে বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা রবিউল ইসলামকে একাধিকবার ফোন এবং ক্ষুদে বার্তা দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক হোসেনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
নগরীর বাসিন্দারা জানান, সাধারণত রাতের মধ্যেই নগরীর সব আবর্জনা পরিষ্কার করেন সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা। দুদিন ধরে নগরীর প্রতিটি সড়কে স্তূপাকারে ময়লা-আবর্জনা পড়ে আছে। শুক্রবার নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের দুই পাশেও আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গেছে।
নগরীর নথু্ল্লাবাদ এলাকার বাসিন্দা ফজলে স্বপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই দিন ধরে রাস্তায় রাস্তায় ময়লা আবর্জনা স্তপ হয়ে রয়েছে। আগে রাতের মধ্যেই সব পরিষ্কার হয়ে যেত। ইউএনওর সঙ্গে ঝামেলার পর সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নকর্মীরা আবর্জনা সরাচ্ছেন না।’
সিএনজি চালক রুবেল খান বলেন, ‘কাশিপুর থেইকা আমতলার মোড় পর্যন্ত যাইতে ঢাকা-বরিশাল হাইওয়ের পাশ দিয়ে ময়লা পইরে থাকতে দেখছি। ওই ইউএনও অফিসের সামনেও ময়লা ফালাইন্যা। এম্নে তো মোগোও গাড়ি চালাইতে সমেস্যা হইতেয়াছে।’
বিএম কলেজ রোড এলাকার বাসিন্দা মাহফুজ উল্লাহ বলেন, ‘কলেজের সামনে প্রফেসর গলির মুখে দুদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা ফেলা। দুর্গন্ধে টেকা কষ্ট। এই সড়কে হাটা চলাও কষ্টকর।’
Leave a Reply