বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
মেহেন্দিগঞ্জ প্রতিনিধি।। মেহেন্দিগঞ্জের অভয়স্থল এলাকার মেঘনা, কালাবদর, তেতুলিয়া ও গজারিয়া নদীতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাটকা ইলিশ রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস সকল প্রকার মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও সংরক্ষণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এবং এই আইন অমান্য কারীর জেল-জরিমানার বিধান রাখা সত্ত্বেও মেহেন্দিগঞ্জের বিভিন্ন নদীতে অহরহ চলছে মাছ নিধনের মহোৎসব।
আর এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন হাটবাজারে। রবিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় উপজেলার দড়িচর খাজুরিয়া ইউনিয়নের় গজারিয়া নদীর উত্তরে বাউশিয়া এবং দক্ষিণে বাগরজার ঠোঢা পর্যন্ত অবৈধ কারেন্ট জাল,বাঁধা জাল ও মশারি জাল দিয়ে জাটকা ইলিশ এবং পোয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অহরহ শিকার করছেন জেলেরা । তবে নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও প্রকাশ্যে জেলেরা মাছ শিকার করলেও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নেই কোন উদ্যোগ। স্থানীয়দের অভিযোগ মৎস্য বিভাগ, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসনের প্রয়োজনীয় তৎপরতা না থাকায় এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়ায় এই এলাকার মন্নান খান,নিজাম খান, সাইফুল ,জামাল মাতাব্বর, আয়নাল, হারুন মিস্ত্রী, সেলিম মিস্ত্রী,হালান মোল্লা,রোমান মোল্লা,তোতা সিকদার, ফেরদৌস কবিরাজসহ কয়েক জনের একটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে প্রকাশ্যে চলছে গজারিয়া নদীতে মাছ শিকার।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা রাড়ী রবিবার বিকেলে স্থানীয়দের সাথে নিয়ে দড়ির চর খাজুরিয়া ইউনিয়নের নতুনহাট এলাকার গজারিয়া নদীর পাড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা করেন। এ সময় বিক্ষোভকারীরা বলেন স্থানীয় এই সিন্ডিকেট সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে জেলেদের নদীতে পাঠাচ্ছেন। যার ফলে নিষেধাজ্ঞার ৭-৮ দিন হলেও এই এলাকায় মাছ নিধন বন্ধের কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি কাউকে। নামমাত্র লোক দেখানো অভিযানেই তারা সিমাবদ্ধ । আর এভাবে নদীতে মাছ শিকার চলতে থাকলে মাছের উৎপাদন ব্যহত হয়ে সরকারের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না। এ ব্যাপারে সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত আয়নাল খার কাছে জানতে চাইলে তিনি জেলেদের দিয়ে মাছ ধরার কথা শিকার করে বলেন মাছ ধরে না কোন নদীতে, আমাদের মতো এরকম অনেকেই মাছ ধরায়। এ বিষয়ে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিমুল রানী পাল বলেন, গজারিয়া নদীতে যাইনি এমন অভিযোগ সঠিক নয় ।
তবে দীর্ঘ এলাকায় অভিযান চালানোর মতো দ্রুতগতির ইঞ্জিন চালিত ট্রলার কিংবা স্পিডবোট না থাকায় ছোট্ট টলার নিয়ে অভিযানে জেলেরা মাছ ধরার সময় আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এসময় জাল টেনে তোলাও সম্ভব হয়না। তা ছাড়া ২ মাসের এই অভিযানে শ্রমিক নিয়োগ করার বাজেট নেই, যে কারণে যথাযথভাবে অভিযান পরিচালনা করা বা জাল জব্দ করা সম্ভব হয় না। তবুও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি জেলেদের মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে।
Leave a Reply