বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৬ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী “মুজিববর্ষ” উপলক্ষে বিভাগীয় শহর বরিশালের পাশাপাশি জেলার প্রতিটি উপজেলাসহ প্রত্যন্ত এলাকার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও সেতুকে বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে। এই আলোকসজ্জা চলবে আগামী কয়েক মাস পর্যন্ত। প্রানঘাতী করোনাভাইরাসের কারনে মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সীমিত করা হলেও বরিশাল জেলাজুড়ে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বিনম্র শ্রদ্ধায় মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে দলমত নির্বিশেষে ব্যাপক আয়োজনের মধ্যদিয়ে সকল প্রতিষ্ঠানগুলোতে শুরু হয়েছে একপ্রকার প্রতিযোগিতা। যে মহান নেতার কারণে বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম নিয়েছে স্বাধীন বাংলাদেশ সেই নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে কোন কিছুরই কমতি রাখতে চাননা আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাই ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শের দুর্লভ ছবি দিয়ে মুজিবকর্নার নির্মান থেকে শুরু করে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানের ভবনগুলোকে লাল-সবুজ সহ হরেক রকমের আলোয় সজ্জিত করা হয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক থাকলেও মুজিববর্ষের আনন্দ থেকে কোনভাবেই বঞ্চিত হতে চাননা আয়োজক প্রতিষ্ঠানগুলো। তাদের (আয়োজক) নিরলস পরিশ্রমে বরিশালের সর্বস্তরের মানুষের হৃদয়কে আপ্লুত করেছে।
সন্ধ্যার পর বরিশাল বিভাগীয় শহর, জেলার গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুরসহ অন্যান্য উপজেলাগুলোর জনগুরুত্বপূর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মুজিববর্ষে জনমনে আনন্দ আর উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করেছে। সবখানেই যেন লাল-সবুজের আলোয় আলোয় অন্ধকারে ঢেকে পরেছে করোনা আতঙ্কের সমস্থ কালো। বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের জেলার মধ্যকার অংশে পথে পথে নির্মান করা হয়েছে মুজিববর্ষের সু-বিশাল তোরণ। মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে বরিশাল জেলাজুড়ে বর্ণিল আলোকসজ্জায় পরিণত হয়েছে লাল-সবুজের পতাকায়।
নগরীসহ জেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, স্থাপনা, অফিস-আদালত সেজেছে বর্ণিল সাজে। সন্ধ্যার পরই লাল-সবুজসহ হরেক রংঙের আলোতে ঝলমলিয়ে ওঠে ওইসব এলাকা। চোখ ধাঁধানো এ আলোকসজ্জার ঝলকানিতে মন কেড়েছে সবার। আলোকসজ্জার মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুসহ মুক্তিযোদ্ধের বিভিন্ন প্রতীকী ও জাতীয় পতাকা। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সু-বিশাল প্রজেক্টর ও মনিটরের মাধ্যমে প্রদর্শন করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ভাষনসহ তার জীবনের উপর রচির নানা কাহিনী।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে তোলা হয়েছে গৌরনদী পৌর ভবনসহ জেলার অন্যান্য পৌর ভবনগুলো, উপজেলা হাসপাতাল ও পরিষদ ভবন, পল্লী বিদ্যুত অফিস, থানা কমপ্লেক্স, সরকারী-বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স, গৌরনদী উপজেলা প্রেসক্লাব, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। জেলা শহরের বাহিরে সবচেয়ে বেশি দৃষ্টিনন্দন করে ব্যতিক্রমধর্মী তোরন ও আলোকসজ্জায় সজ্জিত করে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত ডিজিটাল মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু। আগৈলঝাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে সরকারের উন্নয়নমুলক কাজের সবকয়টিসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইতোমধ্যে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর পরই এলাকার উৎসুক জনতা দাঁড়িয়ে থেকে এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন। উপজেলার পয়সারহাট সেতু, থানা সংলগ্ন ব্রীজ, বাশাইল ওয়পদা ব্রীজেও চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা করা হয়েছে।
Leave a Reply