মাত্র ৩০ মিনিট রোগীকে অক্সিজেন, ৮৬ হাজার টাকার বিল Latest Update News of Bangladesh

শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- inbox.voiceofbarishal@gmail.com অথবা hmhalelbsl@gmail.com আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
লায়লার আফসোস: শাকিবকে ভালোবাসলে সম্মানহানি হতো না এনবিআর বিলুপ্ত, রাজস্ব প্রশাসনে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনছে সরকার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে উদ্বিগ্ন দিল্লি, অবাধ নির্বাচনের আহ্বান বরিশালে ছাত্রদল কর্মীর পৈতৃক জমি দখলের অভিযোগ, জড়িত বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী! বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় “গুজব” নিয়ে আতঙ্ক আইএমএফ ঋণে রিজার্ভে স্বস্তি, অর্থনীতিতে গতি নিবন্ধন স্থগিত: ইসির সিদ্ধান্তে বড় ধাক্কা আওয়ামী লীগে পুলিশের হাতে মারণাস্ত্র নিষিদ্ধ, র‍্যাব পুনর্গঠন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রাজনীতি থেকে বাদ পড়লো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, প্রজ্ঞাপন জারি সারাদেশে বজ্রপাত ও কালবৈশাখীতে ১২ জনের মৃত্যু




মাত্র ৩০ মিনিট রোগীকে অক্সিজেন, ৮৬ হাজার টাকার বিল

মাত্র ৩০ মিনিট রোগীকে অক্সিজেন, ৮৬ হাজার টাকার বিল

মাত্র ৩০ মিনিট রোগীকে অক্সিজেন
মাত্র ৩০ মিনিট রোগীকে অক্সিজেন




ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ মাত্র ৩০ মিনিট রোগীকে অক্সিজেন দেওয়ার পর স্বজনদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৮৬ হাজার টাকার বিল। রাজধানীর আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে এই অবিশ্বাস্য বিল করা হয়েছে।

 

 

ওই হাসপাতালে সম্প্রতি মুক্তিযোদ্ধা মো. মোজাম্মেল হক (৬৭) চিকিৎসা নেন । চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই দিনে মাত্র ৩০ মিনিট অক্সিজেন ব্যবহারের বিল দিতে হয়েছে ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা বলে জানিয়েছেন রোগীর ছেলে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, ডিউটি ডাক্তার ছাড়া কোনো চিকিৎসকই তার বাবাকে দেখেনি হাসপাতালে। তবুও চিকিৎসকের কনসালটেন্ট ফি দিতে হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা।

 

 

মোজাম্মেল হকের ছেলে মো. তৌহিদুল হক সোহেল গণমাধ্যমকে জানান, আমার বাবা চট্টগ্রামে থাকতেন। সেখানে তার করোনা পজেটিভ ধরা পড়ার পরেই ঢাকায় এনেছি। বাবার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গই ছিলো না। তবুও যাতে কোনো সমস্যা না হয় সেকারণে তাকে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালে ভর্তি করছিলাম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবার খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। তার রুমে কোনো চিকিৎসক যায়নি। এক দিন শুধু একজন ডাক্তার দরজা থেকে হাত ঈশারা দিয়েছেন। তবুও চিকিৎসকের কনসালটেন্ট ফি দিতে হয়েছে ৪৯ হাজার টাকা। এ ছাড়া কোনো ক্লিনার বা অন্য কেউ যায়নি তার রুমে। তবুও রুমের সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে ৪৫ হাজার ৪০০ টাকা।

 

 

আনোয়ার খান মর্ডানে চিকিৎসা নেওয়া রোগীর ছেলে বলেন, সবচেয়ে খারাপ লাগার বিষয় হলো আমার বাবার কোনো শ্বাসকষ্ট ছিল না। তাকে আমি নিজেই অক্সিমিটার কিনে দিয়েছিলাম। দুই দিন তার সামান্য অক্সিজেনের দরকার হয়েছে। মাত্র ১০/১৫ মিনিট করে দুই দিনে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট অক্সিজেন নিতে হয়েছে বাবাকে। তবু্ও সেই অক্সিজেনের বিল তারা করেছেন ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা। আমি হাসপাতালে জিজ্ঞাসা করছিলাম প্রতি ঘণ্টা অক্সিজেনের বিল কত? তারা তখন আমাকে জানায় ঘণ্টা ৪০০ টাকা। যদি সেই হিসেবেও ধরি যে দুই দিন ২৪ ঘণ্টাই বাবার অক্সিজেন লেগেছে। তবুও তো এত বিল হবে না।

 

 

মোজাম্মেল হকের বিলে লেখা আছে, হাসপাতালে ৯ দিনে ২১৬ ঘণ্টার বিল অক্সিজেন বিল ৪০০ টাকা হিসাবে ৮৬ হাজার ৪০০ টাকা করা হয়েছে। হাসপাতালের বিল ২ লাখ ৮৮ হাজার ৪২০ টাকা। চিকিৎসকের ফি ৪৯ হাজার টাকা। ইনভেস্টিগেশন বিল ৮ হাজার ১৭০ টাকা এবং ওষুধের বিল ধরে দেওয়া হয়েছে ৮ হাজার ৭৫২ টাকা।

 

 

জানতে চাইলে আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের ম্যানেজার মো. নেওয়াজ বলেছেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। অক্সিজেনের বিল প্রতি ঘণ্টায় কত টাকা এটাও আমি জানি না। এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন তিনি। পরে অধ্যাপক ডা. এহতেশামুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোনটি রিসিভ হয়নি।

 

 

এর আগে, মো. হুমায়ুন ( ৪১) নামে ফকিরাপুলের এক করোনা রোগীর কাছ থেকে ২ লাখ ৬৮ হাজার টাকার বিল দাবি করে আনোয়ার খান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এত টাকার বিল দেখে মাথায় হাত পড়ে সেই অসহায় রোগীর। পরে সেই বিলের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একাধিকবার নানা মাধ্যমে যোগাযোগ করে শুধুমাত্র ২০ হাজার ৭০০ টাকা বিল পরিশোধ করে রিলিজ পান তিনি৷

 

 

একই ঘটনা ঘটেছিল সাইফুর রহমান নামের অপর এক করোনারোগীর সঙ্গেও। সেই রোগীর কাছে এক লাখ ৭০ হাজার টাকা বিল দাবি করে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতালের বিরুদ্ধে।

 

 

পরে রাতেই এক লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে ওই রোগী ছাড়া পেয়ে বাসায় গিয়েছিলেন। পরে দুঃখপ্রকাশ করে লাখ ১৫ হাজার ৯৯৫ টাকা ফেরত দেয় আনোয়ার খান মর্ডান হাসপাতাল।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD