মঠবাড়িয়ায় বিধবা ভাবিকে ধর্ষণের দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৫৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ আঘাত হানতে পারে যেদিন কলাপাড়ায় সহকারী প্রধান শিক্ষককে ব্যতিক্রমী বিদায়ী সংবর্ধনা মহিপুর থানা আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধন শেবাচিমের সংকট কাটিয়ে উঠতে কাজ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ: সচিব বরিশালে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ কার্যক্রম উদ্বোধন অচিরেই বরিশালে বসবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর: পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ মন্ডল’র পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন প্রতিমন্ত্রী আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী মাছ শিকার করতে গিয়ে শিক্ষার্থীর শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ল ৬ ইঞ্চির বাইন কলাপাড়ায় অর্ধশতাধিক অসহায় মানুষ পেল প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা




মঠবাড়িয়ায় বিধবা ভাবিকে ধর্ষণের দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মঠবাড়িয়ায় বিধবা ভাবিকে ধর্ষণের দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড




পিরোজপুর প্রতিনিধি॥  পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় আপন বিধবা ভাবিকে (বৌদি) ধর্ষণের দায়ে দেবরের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। মঙ্গরবার দুপুরে পিরোজপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ মিজানুর রহমান এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামির নাম বাবুল হালদার ওরফে কালা।

সে মঠবাড়িয়ার কবুতরখালীর মৃত প্রমাংশু হালদারের পুত্র।মামলার বিবরণে জানা যায়, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার কবুতরখালী গ্রামের মৃত প্রমাংশু হালদারের পুত্র লক্ষণ হালদার বেশ কয়েক বছর আগে মারা যায়। স্বামী লক্ষণ হালদারের মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী ৬ বছরের শিশু সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকেই নিহত লক্ষণ হালদারের আপন ছোট ভাই ও গৃহবধূর দেবর বাবুল হালদার প্রায়ই ওই বিধবা গৃহবধূকে কু-প্রস্তাব দিতো।

কিন্তু এতে ওই গৃহবধূ রাজী না হওয়ায় ঘটনার দিন ২০১০ সালের ১৭ আগষ্ট মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে বৌদির ঘরে ঢুকে মুখে গামছা ঢুকিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় দেবর বাবুল হালদার। বিষয়টি ওই গৃহবধূ এ মামলার ২নং আসামি মেজ দেবর রামচন্দ্র ও শাশুড়িকে জানালে তারা ধর্ষক বাবুল হালদারকে ডেকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে ধর্ষক বাবুল হালদারের সাথে বিধবা পুত্রবধূকে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত দেন।

বিয়েতে রাজী হওয়ার কথা বলে কৌশলে প্রতারণার আশ্রয় নেয় ধর্ষক বাবুল। বিয়ের নাম করে বিধবা বৌদিকে কালী মন্দিরে নিয়ে মালা বদল করে সে। এরপর থেকে ২০১১ সালের ৮ মার্চ পর্যন্ত একত্রে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বাড়িতে বসবাস করে সে। এই সময়ের মধ্যে বিধবা বৌদি গর্ভবতী হয়ে পড়ে।

পরে ধর্ষক প্রতারক বাবুল অন্যত্র বিয়ে করে বিধবা বৌদিকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করলে নির্যাতিতা এ নিয়ে মিমাংসা করতে ব্যর্থ হয়ে ২০১১ সালের ২৩ মার্চ মঠবাড়িয়া থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ তদন্ত শেষে ধর্ষক বাবুলের নামে চার্জশিট জমা দেয় রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আঃ রাজ্জাক খান বাদশা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD