ভোলায় বসবাস অযোগ্য বাড়ি ভেঙ্গে নতুন তৈরিতে বাঁধা Latest Update News of Bangladesh

মঙ্গলবার, ১৮ জুন ২০২৪, ১১:৫৩ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




ভোলায় বসবাস অযোগ্য বাড়ি ভেঙ্গে নতুন তৈরিতে বাঁধা

ভোলায় বসবাস অযোগ্য বাড়ি ভেঙ্গে নতুন তৈরিতে বাঁধা




স্টাফ রিপোর্টার।। ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়ন এর ৯ নং ওয়ার্ডের আচমত আলী পন্ডিত বাড়ির প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান এর বসতঘরটি দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরে আছে। বাসাটি ভেঙ্গে নতুন করে করতে চাইলে সৎ বোন জুলিয়া রহমান বন্যা কর্তৃক বাঁধার সম্মুখীন হন মোস্তাফিজুর রহমানের বড় ছেলে মেজবাহ উদ্দিন টুটুল।

 

 

ভুক্তভোগী মেজবাহ উদ্দিন টুটুল জানান, প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে আমাদের বসতঘরটি বসবাস অযোগ্য হয়ে পরে আছে। ২০১০ সালে আমার বাবা এই বসতঘর সহ ১ একর ৪০ শতক জমি আমাদেরকে রেজিস্ট্রি হেবা দলিলমূলে প্রদান করেন। কিন্তু বছরখানেক আগে আমার সৎ বোনেরা জোরপূর্বক আমাদের বাসার দোতলা দখল করে বসবাস করতে থাকে এতে বাসার অবস্থা দিন দিন আরও খারাপ হয়ে যায়। গত অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ সকালে আমাদের বসতঘরের নিচ তলার ছাদের এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংসে পরে এতে বাসার ফ্রিজসহ বিভিন্ন আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এমতাবস্থায় আমি বড় ধরণের দুর্ঘটনা এড়াতে বাবার সাথে পরামর্শ করে তার অনুমতি নিয়ে বাসাটি ভেঙ্গে নতুনভাবে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজ মেস্ত্রী দিয়ে ঘরের কাজ করাতে গেলে আমার সৎ বোন জুলিয়া রহমান বন্যা গিয়ে কাজে বাঁধা প্রদান করে কাজ আটকে দেয়। গত দুই বছর আগে বন্যা মামলা দিয়ে আমার বাবার কাছ থেকে তার মায়ের ভরনপোষণ বাবদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা নিয়ে যায়। তারাপরও যদি কোন সম্পদের দাবিদাওয়া থাকে সেটা বাবার কাছে থাকতে পারে কিন্তু আমাদের বসতঘরের কাজে সে কিভাবে বাঁধা দেয় সেটা আমাদের বোধগম্য নয়। ঘরটির এখনকার যে অবস্থা তাতে যেকোনো সময় ছাদ ধ্বসে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এমতাবস্থায় আমি এই ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘরের নিচ তলায় আমার স্ত্রী ও দুই সন্তানদের নিয়ে মৃত্যু আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।

 

 

এ ব্যাপারে জুলিয়া রহমান বন্যা বলেন, আমরা আমাদের বাবার হেবা দলিল না মেনে আইনের দারস্থ হয়ে মামলা করেছি এবং আদালত থেকে ক্রোক ওয়ার্ডার পেয়েছি। আদালতের আদেশেই এই বাড়িতে বসবাস করছি।

 

 

এ ঘটনায় সম্পর্কে জানতে চাইলে ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কবির হোসেন জানান, আমি এ ঘটনা শুনে তাদের বাবার সাথে কথা বলেছি। তিনি খুব শিগগিরই ভোলায় আসবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আসলে এটার মীমাংসা করতে সক্ষম হবো।

 

 

এ ব্যাপারে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, বিষয়টি যেহেতু ভাই বোনের তাই এটি আমি স্থানীয় চেয়ারম্যান এর কাছে মীমাংসা করতে দায়িত্ব দিয়েছি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD