রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৫৭ অপরাহ্ন
ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার মনপুরা উপজেলায় মিলাদের তবারক আঙ্গুলী খেয়ে শিশুসহ ২১ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ রোগীরা হলেন- জালাল, আমির, নাহিদ, নাছনাইন, বায়জিদ, মেহেদী, তুহিন, শিহাব, আবু বক্কর, মামুন, সুমন, সোনিয়া, আবদুল্লাহ, ঝর্না, তামান্না, ফাতেমা, হোসেন, সাব্বির, আজিজ, করিম, আপপান। এদের সবার বাড়ি উপজেলার হাজিরহাট ইউপির চরফৈজুদ্দিন গ্রামের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে।
তবে এদের মধ্যে দুই বছরের শিশু বায়জিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে জানান হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মশিউর রহমান।
অসুস্থ রোগী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, হাজিরহাট ইউপির ভূইয়ারহাট এলাকার মাজু ব্যাপারীর স্ত্রী গত সপ্তাহে মারা যান। স্ত্রীর রুহের মাগফিরাত কামনায় শুক্রবার জুমার পর হাজী ইব্রাহীম জামে মসজিদ, ভূইয়ার হাট জামে মসজিদ ও জাফর উল্লাহ চৌধুরী জামে মসজিদে মিলাদ পড়ানো হয়।
ওই মিলাদে ভূইয়ার হাটবাজারের ব্যবসায়ী চায়ের দোকানদার হান্নানের দোকান থেকে মুড়লি (আঙ্গুলী) ক্রয় করে মিলাদের পর তবারক হিসাবে বিতরণ করা হয়। পরে ওই তবারক অনেকে বাড়িতে নিয়ে শিশুদের দেয় ও নিজেরা খান।
সন্ধ্যার পর মিলাদের ওই তবারক খেয়ে একে একে সবার পেটের ব্যথা, বমি শুরু হয়। এদের মধ্যে যাদের অবস্থা গুরুতর শিশুসহ ২১ জনকে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান জানান, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাদের চিকিৎসা চলছে। এরমধ্যে একটি শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
মনপুরা ইউএনও মো. সেলিম মিয়া জানান, খবর পেয়ে রাতেই হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ খবর নেয়া হয়েছে। পচা-বাসি খাবার যারা বিক্রি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply