শনিবার, ০৪ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:১৩ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: দক্ষিণাঞ্চলের একমাত্র উন্নত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল। প্রতিদিন শত শত মানুষ বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থান থেকে এই হাসপাতালে আসেন উন্নত চিকিৎসা জন্য। তবে অভিযোগ রয়েছে কর্মরত কর্মচারী-কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে বর্তমানে সেবার পরিবর্তে হয়রানির শিকার হচ্ছে সাধারণ চিকিৎসা প্রার্থীরা।
খাবার থেকে শুরু করে ঔষধ চুরি,রোগী ও তার স্বজনদের সাথে ডাক্তার ও নার্সের দুর্ব্যবহার, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের পদে পদে বকশিস,সেবার নামে অর্থ-বাণিজ্য এখন শেবাচিমকে একটি পঙ্গু প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছে। সূত্র জানায়,শেবাচিমের ওয়ার্ড মাস্টারকে মোটা টাকা বকশিস দিয়ে ঝাড়দাররা করছে আয়ার কাজ। বিগত ২৪ বছর ধরে হাসপাতালে ঝাড়–দার পদে কর্মরত থাকা তহমিনা বেগম ওরফে মিনু বর্তমানে গাইনি অপারেশন থিয়েটারে মাথায় মাস্ক পরিধান করে আয়ার কাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,অপারেশন থিয়েটার এর মধ্য থেকে সিজারের মাধ্যমে জন্ম নেওযা শিশুকে কোলে নিয়ে বেরিয়ে এসে স্বজনদের কাছ থেকে মোটা অংকের বকশিশ আদায় করে মিনু। বকশিশ দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে নবজাতককে জিম্মি করে যে কোনোভাবেই টাকা আদায় করাই হলো তার মূল র্টাগেট। মিনুর ছেলে আবুল কালাম ও একজন ঝাড়–দার।
কিন্তু সেও ফুলবাবু সেজে গলায় আইডি কার্ড ঝুলিয়ে সারাদিন পরিচালকের দপ্তর এর মধ্যেই অঘোষিত পিএস হিসেবে নিজেকে জাহির করে অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে রোটেশন এর নামে হাতিয়ে নেয়া বিপুল পরিমাণ টাকা। এম এল এস এস রাশিদা বেগম গাইনি ওটিতে নিজেকে আয়া পরিচয় দিয়ে মিনুর মতই অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে।
অপরদিকে শেবাচিমের সাবেক চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সাহেব আলীর পুত্র মিলনও একজন এম এল এস এস হয়ে ওয়ার্ড মাস্টার এর রুমে কম্পিউটারের কার্জের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রোটেশন বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। এ বিষয়ে শেবাচিমের ওয়ার্ড মাস্টার রাশেদুল ইসলাম বলেন, মিনুকে প্রথমবারের মতো ক্ষমা করে দিন।
আমি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর তার ছেলে ঝাড়–দার হলেও পরিচালকের পছন্দের ব্যক্তি। তাই আমার বলার কিছু নাই। তিনি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন। আর এম এল এস এস মিলনের ব্যাপারে তিনি বলেন,সে কম্পিউটার টাইপিং পারে বিধায় তাকে দিয়ে আমি কাজ করাই। এটা আইন সম্মত কিনা এ প্রশ্নের জবাবে চুপ থাকেন রাশেদুল ইসলাম।
Leave a Reply