সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৭ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : টাকা হলেই হাতের নাগালে পৌঁছে যাচ্ছে গাজা ,ইয়াবা ফেনন্সিডিল সহ বিভিন্ন মাদক দ্রব । মাদকের এ ভয়াবহ ছোবলে ধংস হচ্ছে যুবসমাজ । মাদকের নেশায় লন্ডভন্ড হচ্ছে নিন্মবিত্ত থেকে উচ্ছবিত্ত পরিবার । মাদকের ছোবলে অবিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম উদ্বেগ- উৎকন্ঠায় । মাদক ব্যবসায়ীরা ক্ষমতাশীন দলের নেতা ও পুলিশের পশ্রয়ে দেদার তাদের মাদক বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । সম্প্রতি বরিশাল নগরীর ২২নং ওয়ার্ডের কাজিপাড়া এলাকার ক্ষমতাশীন দলের এক নেতা পরিচয়দানকারী মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । আ:লীগের তকমা লাঘিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার এই অবৈধ ব্যবসা ।
২২ নং ওয়ার্ডের কাজিপাড়া এলাকার হারুন অর রশিদের ছেলে শিবলী ওরুফে (খাম্বা শিবলী) ওই সকল এলাকা সহ আশপাশের এলাকায় মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলছেন বলে অভিযোগ উঠে এসেছে । গোপন সুএে জানা গেছে, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান দুলাল প্রতিবাদ করতে পারছেন না,কারন তার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য (খাম্বা শিবলী) কাজিপাড়া এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার যুব সমাজকে মাদকের নেশায় আশক্ত করছে এবং তার ফায়দা লুটে কাউন্সিলরের বিরুদ্বে দাড়া করানোর ভয়ে ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর চুপ রয়েছে। সুএ বলছে , গত বছরে কাজিপাড়া এলাকা থেকে আটক হওয়া চিনহিত সন্ত্রাসী রুবেলের সহচর ছিল এই (খাম্বা শিবলী)। বছর খানেক আগে রুবেল ও শিবলীর যৌথভাবে কাজিপাড়া এলাকায় মাদকের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলে। এরপর ধীরে ধীরে তাদের মাদক বানিজ্য ক্রমসই বেড়ে যায়।
এক পর্যায়ে মাদক ব্যাবসার পাশাপাশি তারা কাজিপাড়া এলাকার ইদ্রিস মিয়ার ক্যাবল নেটওয়ার্ক এবং জিয়া সড়ক এলাকার মহিলা কাউন্সিলরে স্বামী সৈয়দের ক্যাবল নেটওয়ার্ক ডিস ব্যাবসা হাতিয়ে নেয়। পরবরতীতে কিছুদিন যাওয়ার পরে শিবলী ওরফে (খাম্বা শিবলি) রুবেলকে ব্যাবসা থেকে হাটানোর পায়তারা করছিল। এরপরেই কয়েক দিনের মথায় ব্যাবসার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে শিবলীর সাথে রুবেলের ব্যাপক দ্বন্দের সৃষ্টি হয়। তারই কিছুদিন পরে রুবেলকে দেশীয় অস্র দিয়ে ফাসিয়ে আটক করায় এই (খাম্বা শিবলী )। রুবেল আটক হওয়ার পরে রুবেলের ব্যাবহত মটরবাইক এবং রুবেল ও শিবলীর যৌথ ব্যাবসা তা শিবলী নিজের দখলে নিয়ে নেয় ।একদিকে রুবেল কারাগারে সাজা ভোগ করছে অন্যদিকে শিবলী ওরফে (খাম্বা শিবলী) একাই তার মাদকের স্বর্গরাজ্য দেদারছে চালিয়ে যাচ্ছে ।
বিশ্বস্ত এক সূত্র বলছে ডিস ব্যাবসার আড়ালে শিবলী তার মাদক ব্যাবসার চালাতে ব্যাবহার করছে শিবলীর ক্যাবল অপারেটরদের মাধ্যমে, যেকোনো চালান পার্সেল ও সরবরাহ করে শিবলীর একান্ত কর্মচারী সাইদুল। সাইদুলের মাধ্যমেই ২২ নং ওয়ার্ড সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে ইয়াবা সরবরাহর কাজ করে থাকে । এ বিষয় শিবলীর মুটো ফোনে একধীকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি । ২২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান দুলাল বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই তবে আওয়ামীলিগের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ যদি মাদকের সাথে যরিত থাকে তাহলে তার বিরুদ্বে কোঠর হস্তক্ষেপ প্রদান করবো, তিনি আরো বলেন আমার ওয়ার্ডকে মাদক মুক্ত রাখতে আমাকে যে ধরনের ভুমিকা পালন করতে হয় আমি করবো। এ ব্যাপারে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন মাদক বিক্রি ও সেবন দুটোই অপরাধ,মাদকের সাথে আমরা কখনই আপোষ করিনি, যদি কারোর বিরুদ্ব সুনির্দিষ্ট প্রমান পেয়ে থাকি তাহলে অবশ্যই তার বিরুদ্বে ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।
প্রিয় পাঠক……….শিবলী ওরফে (খাম্বা শিবলীর) আরো চাঞ্চল্যকর ও অনুসন্ধান মূলক তথ্য নিয়ে আগামী পর্ব দেখতে চোখ রাখুন পত্রিকায়
Leave a Reply