মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
আরিফ হোসেন,বাবুগঞ্জ ॥ বরিশালের বাবুগঞ্জে অবস্থিত রহমতপুর কৃষি প্রশিক্ষন ইনিষ্টিটিউটের(এটিঅই) ছাত্রাবাস থেকে ২য় সেমিস্টারের ছাত্র মাহাথির মোহাম্মাদ কে গভীর রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাধা পোশাকধারীরা তুলে নিয়ে যাওয়ার ৪দিন অতিবাহীত হলেও খোজ মেলেনি ওই ছাত্রের। মাহাথির মোহাম্মাদ গৌর নদী উপজেলার মোঃ ফরিদ হোসেন এর পূত্র।
এ ঘটনায় বরিশাল মেট্রপলিটন এয়ারপোর্ট থানায় কলেজের অধ্যক্ষ ও নিখোজ ছাত্রের পিতা মোঃ ফরিদ হোসেন পৃথক দুইটি সাধারণ ডায়রী করেন। অধ্যক্ষের জিডি নং ৮১,তাং-০২/০৭/১৯ইং ও পরিবারের জিডি নং-৪২, তাং-০১-০৭-১৯ইং।
ডায়েরী সুত্রে ও সরোজমিনে গিয়ে জানাযায়, রবিবার দিবাগত রাত সারে ৩টায় ক্যাম্পাসের মূল ফটকের দারোয়ানকে ভয়ভিতি দেখিয়ে চাবি নিয়ে ছাত্রাবাসে প্রবেশ করে ৮/১০ জনের সাদা পোশাকধারী একটি দল।
এসময় তারা ২০৬ নং কক্ষে তল্লাশী চালিয়ে মাহাথির মোহাম্মাদ কে তুলে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় উপস্থিত ছাত্রদের বলে যায় মাহাথির বরগুনার রিফাত হত্যার সাথে জড়িত, সে অনলাইন গ্রুপ ০০৭ এর সদস্য।
নিখোজের পিতা মোঃ ফরিদ হোসেন বলেন, আমার সন্তানের এখ নপর্যন্ত কোন খোজ পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন মাধ্যমে খোজ নিয়েও হদিস করতে পারিনি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সংস্থা মাহথিরকে গ্রেফতার বা আটকের বিষয় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়নি। আমরা উৎকন্ঠায় রয়েছি। তবে আমার ধারনা মাহাথীর আইনশৃঙ্খলা বাহীনির হেফাজতে থাকতে পারে।
প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ গোলাম মোঃ ইদ্রিস বলেন, ক্যাম্পসে প্রবেশের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোনো সংস্থা অনুমতি নেয়নি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ৮/১০ জন অস্ত্রধারিকে দেখা গেছে। আমি আশাবাদী মাহাথিরকে অচিরেই খুজে পাওয়া যাবে।
এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাহাবুব উল আলম জানায়, এধরনের কাউকে কোন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্থা এয়ারপোর্ট থানায় হস্তান্তর করে নি। নিখোজ মাহাথিরকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।গভীর রাতে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাধা পোশাকধারীরা ছাত্র তুলে নেওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
উল্লেখ্য মাহাথির মোহাম্মাদ এর বাবা মোঃ ফরিদ হোসেন বরগুনা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের গাড়ির চালক হিসাবে কর্মরত থাকায় বরগুনা মাহাথিরের যাতায়াত ছিলো। এই কারনেই রিফাত হত্যা মামলার সাথে জরিত থাকার সন্ধেহ করছে সহপাঠিরা।
Leave a Reply