মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫, ০৯:৩৫ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়ক বাকেরগঞ্জে পৌর টোলের নামে বিভিন্ন যানবাহন থেকে চাঁদা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। বাকেরগঞ্জ উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি দাবীদার কালাম ডাকুয়া ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে বিধি নিষেধ না মেনে স্হানীয় প্রশাসনের সামনে যানবাহন থেকে চাঁদা তুলছেন। পূর্বের নিধার্রিত চেয়ে যানবাহন থেকে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে এই নেতার বির“দ্ধে। তার হাত থেকে ট্রাকই নয়, দুরপাল্লার রিজার্ভ পরিবহন চাঁদা না দেয়া থেকে রেহাই পাচ্ছে না।
বাংলাদেশ আন্তঃজিলা ট্রাক চালক ইউনিয়ন নামে মৃত্যু ও পঙ্গু সদস্যদের কল্যাণে চাদার রসিদে ২০টাকা উল্লেখ থাকলেও ট্রাক প্রতি নেয়া হচ্ছে ৫০টাকা। এই রসিদ ব্যবহার করে কুয়াকাটার উদ্দেশ্য ভ্রমনে আসা দুরপাল্লার রির্জাভ পরিবহন থেকে ১০০ টাকা করে তোলা হচ্ছে। এছাড়া অটো রিক্সা থেকে ৩৫ , মাহেন্দ্র ৫০ টাকা নিচ্ছেন। এতে হিসেব সূত্রে প্রতিদিন যানবাহন থেকে পৌর টোলের নামে ২৫ হাজার টাকার চাঁদা উত্তোলন করা হয়। মাসে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এবং বছরে ৯ কোটি টাকার চাঁদা তুলছে কালাম বাহিনী।
বিভিন্ন সময় এই চাঁদা দিতে কোন চালক অস্বীকার করলে তাকে মারধর করার অভিযোগ রয়েছে। ঢাকাগামী মেঘনা পরিবহণের চালক কালু গাজী অভিযোগ করেন, প্রায়ই তিনি রিজার্ভ যাত্রী নিয়ে কুয়াকাটার উদ্দেশ্য তাকে যেতে হয়। কিš‘ পথিমধ্যে বাকেরগঞ্জ স্ট্রান্ডে পৌর টোলের নাম করে দুটি রসিদ ধরিয়ে দিয়ে ৬০ টাকা করে নেয় কালাম ডাকুয়া ও তার লোকজন। পৌর টোল রসিদে ২০ টাকা নির্ধারিত।
বতর্মানে সরকার টোল উওোলন বন্ধ করেছে। তারপরও দিতে হচ্ছে টোল। এতে সরকার হারাচ্ছে যেমনি রাজস্ব তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবহন সেক্টরসহ ভুক্তভোগীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ট্রাক চালক জানান, দলীয় ক্ষমতা দেখিয়ে কালাম ডাকুয়া চাঁদা নিচ্ছে। প্রতিদিনই এই টাকা দিতে হয়। অনেক সময় না দিতে চাইলে তার হাতে মারধরের শিকার হতে হয়। বরিশাল বিভাগীয় ট্রাক ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মোঃ বাবুল শরীফ বলেন, বাকেরগঞ্জের বোয়ালিয়া নামক স্হানে পৌর টোলির নামে বহুদিন থেকে ট্রাক থেকে টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। রিসিভে যে পরিমান চাঁদা উল্লেখ রয়েছে তার চেয়ে দিগুন নেয়া হয়।
ট্রাক চালকদের কাছ থেকে এমন অভিযোগ জানতে পেরে বিষয়টি গত ২ বছর পূর্বে সতের জেলার ট্রাক ইউনিয়ন নেতাদের সাথে স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ের এক সভায় তুলে ধরি। সেসময় বাসটার্মিনাল না থাকলে পৌর টোল নেয়া যাবে না সভা থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। কিš‘ সেই আদেশ না মেনে এখনো পৌর টোলের নামে ট্রাক দিয়ে চাঁদা নেয়া অব্যহুত রয়েছে। এদিকে অভিযোগের বিষয় কালাম ডাকুয়া মুঠোফোনে বলেন, টোল নেয়ার বিষয়টি বড় মাথার ব্যপার।এখানে আমার কোন যোগসাজেস নেই। আমি কোন র্কায্যক্রমে নেই।
এ ব্যপারে বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো, মাসুদুজ্জামান বলেন, পৌর টোলের নাম করে চাঁদা নেয়ার তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে গোপনে তদারকি করা হবে, সত্যতা মিললে আইনানুগ ব্যবস্হা নেয়া হবে। প্রসঙ্গত,স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের আইনানুযায়ী, পৌরসভার নিজস্ব পার্কিং স্থানীয় না থাকলে পৌর কর্তৃপক্ষ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ),স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) নির্মিত ও তত্ত্বাবধানে থাকা সড়কগুলোতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের টোল আদায় করতে পারবে না। ২০১৫ সালের ৩ ডিসেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ পৌর-১ শাখা উপ-সচিব সরোজ কুমার নাথ এক স্বাক্ষরিত স্মারকে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা কর্তৃক মহাসড়কে বিভিন্ন যানবহনে টোল আদায় বন্ধ করার নির্দেশ প্রদানসহ সংশ্লিস্ট দপ্তরগুলোতে চিঠি আকারে অবহিত করেন।
Leave a Reply