শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০১:৪৭ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার॥ বরিশাল বিমানবন্দর থানা এলাকায় কিশোর গ্যাংদের সস্বস্ত্র হামলায় গুরতর আহত বরিশাল কলেজ’র ২ ছাত্র শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধা ৭ টার দিকে বরিশাল বিমানবন্দর থানাধীন সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের গনপাড়া এলাকার বহুমুখী মাদ্রাসার সম্মুখে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহতরা হলেন গনপাড়ার গ্রামের নাসিরদ্দিন মিয়ার ছেলে বরিশাল কলেজ’র সমাজ কল্যান বিভাগের অনার্স ১ ম বর্ষের ছাত্র মোঃ রাসেল (১৯), একই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে বরিশাল কলেজ’র হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের ১ বর্ষের ছাত্র সাগর।
এঘটনায় হামলার শিকার মোঃরাসেল (১৯)’র বড় ভাই মোঃমাইনুদ্দিন (বিএমপি)’র বিমান বন্দর থানায় ইউনুস (১৪), ইমন (১৬), হাবিব(১৬), মোন্না (৪৫) সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানায়।
নব্য কিশোরগ্যাং সদস্যদের দায়ের কোঁপে গুরতর হামালার শিকার রাসেল বলেন, গত ৮ নভেম্বর ইউনুস (১৪) আমার বয়সে ছোট হওয়া সত্তেও আমার নাম ধরে ডাক দেয়। যেহেতু আমি তার চেয়ে বয়সে বড় তাই তাকে নাম ধরে ডাকতে নিষেধ করি। তার পরও সে নাম ধরে ডাকলে আমি ক্ষুব্দ হয়ে ইউনুস’র গালে একটি থাপ্পর মারি।
এরই জের ধরেই গত শুক্রবার সন্ধা ৭ টার দিকে আমি ও আমার বন্ধু সাগর কাশীপুর চৌমাথা বাজার দিয়ে আসার পথে বহুমুখী মাদ্রাসার সামনে আসলে, ইউনুস অভিযুক্তদের সাথে নিয়ে আমাদের উপর দা ও লাঠি সোঠা দিয়ে হামলা চালায় । এসময় আমরা ডাকচিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় আমাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের – ই- বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেন।
হামলা ও অভিযোগের বিষয়ে বিমান বন্দর থানার ওসি মোঃ জাহিদ বিন আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ১৩ নভেম্বর সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় রাসেল নামে এক যুবককে থানায় নিয়ে আসে তার স্বজনরা মামলা করার জন্য। আমি আহত ওই যু্ককে দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। হামলার ঘটনায় প্রাথমিক ভাবে একটি অভিযোগ গ্রহন করেছি। যার তদন্তের কাজ চলছে।
হামলার ঘটনার সত্যতা প্রমান পেলে মামলা গ্রহন করে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যাবস্থা গ্রহন করবো। ওসি জাহিদ বিন আলম বলেন, আমার থানা এলাকায় কোন ক্রমেই কিশোর গ্যাং এর ঠাই হবেনা। মাদক কারবারি ,ইভটিজার ও অন্যান্ন সকল অপরাধীদের নির্মুলের জন্য (বিএমপি) পুলিশ কমিশনার স্যারের নির্দেশে আমরা দিন রাত কাজ করছি। তাই জনগনের দোরগোড়ায় সেবা পৌছে দিতে কমিউনিটি পুলিশিং ও বিট পুলিশিং কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
Leave a Reply