সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:২২ অপরাহ্ন
ভয়েস অব বরিশাল ডেস্ক॥ দিন যত যাচ্ছে, বাড়িতে থাকতে ক্রমেই অধৈর্য হচ্ছে জনতার একাংশ। ফলে কোথাও কোথাও জমছে ভিড় । কোথাও কোথাও চলছে আড্ডা। খুলতে শুরু করেছে বহু দোকানপাট। চালু হচ্ছে ছোট যানবাহন। করোনা সংক্রামন এড়াতে ঘরে থাকার সরকারী নির্দেশ বার বার প্রচার করা হলেও বহু ক্ষেত্রে ভাঙছে শৃঙ্খলা। বরিশাল নগরীতে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিকেল থেকেই বহু মানুষকে রাস্তায় বেরিয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল। চায়ের দোকানগুলিও একে একে খুলতে শুরু শুর করেছে।
সেখানে আড্ডা বসছে দু’বেলা। বুধবার সকালে কাউনিয়া মরখখোলার পোল, বাঘিয়া,ভাটিখানা,সায়েস্তাবাদ ব্রিজ, পলাশপুর, শেরে বাংলা সড়ক, ফিসারি রোড, এলাকায় চায়ের দোকানে ভিড় ছিল। বিকেল হতেই মাঠও ভরে গেল ছেলেদের ভিড়ে ভিড়ে। বৃহস্পতিবার সকালে এসব এলাকায় মানুষের ভিড় ছিল চোখে পরার মতো।
দৈনিক ভোরের আলো পত্রিকার পক্ষ থেকে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সড়কে দাগ কেটে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু অধিকাংশ জায়গাতেই তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে নগর বাসীর।
কাউনিয়া মরখখোলার পোল, বাঘিয়া,ভাটিখানা,সায়েস্তাবাদ ব্রিজ, পলাশপুর, শেরে বাংলা সড়ক, ফিসারি রোডসহ বিভিন্ন এলাকার বৃহস্পতিবারের রাস্তার ছবি দেখে মনেই হবে না যে, বাসায় থাকার প্রয়োজন আছে ।
বাজারে মানুষের ভিড় রাস্তাঘাটে ব্যাটারি চালিত অটো-টোটোর দাপট শুরু হয়েছে আগের মতোই। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বলছে, বিরোধি দলের হরতাল চলাকালীন সময় যে ভাবে এক স্থানে বেশ কিছু পুলিশ সদস্যরা তৎপর থাকেন, গাড়িতে না ঘুরে একাধীক স্থানে পুলশি থাকলে হয়তো মানুষরে আনাগোনা কমতে পারে ।
অপরদিকে ব্যাটারি চালিত অটো রিকশায় দু’জন যাত্রী উঠালে রিকশার হাওয়া ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। রিকশা চালক পুলিশ দেখা মাত্র একজন যাত্রী নামিয়ে বলেন কিছুর হেটে যান আমি গাড়ি নিয়ে সামনে আসতেছি। একজন যাত্রী নিয়ে পুলিশের সামনে থেকে গেলেও পরে যোগ হচ্ছেন দুজন। এভাবেই পুলিশের চোঁখে ফাঁকি দিয়ে ভাড়ায় চালিত মটরসাইকেল গুলো দাপিয়ে বেরাচ্ছেন নগরী। এক পুলিশ সদস্য বলেন, “প্রতি দিন বিভিন্ন স্থানে গিয়ে হাতজোড় করে অনুনয়- বিনয় করা হচ্ছে। তারপরেও মানুষের হুঁশ ফিরছে না।”
কিছু মানুষ অবশ্য বাজারে নির্দিষ্ট দুরত্ব মেনে কেনাকাটা করছেন। নতুন বাজার এলাকায় একাধিক জায়গায় চোখে পড়ছে এই ছবি। তবে গ্রামীণ এলাকায় কিছু কিছু বাজারে লাগামছাড়া ভিড় ছিল।
করোনা সংক্রমণ এড়াতে যানবাহন বন্ধ, মানুষও কম ছিল রাস্তায়। তার ফলে যানজটের সেই ছবিটাই উধাও হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার ফের আগের চেনা ছবি। সচেতন নাগরিকদের একাংশ এ সবের জেরে আতঙ্কিত।
নগরীর এলাকার বাজারে ভিড় নিয়ন্ত্রন করার চেষ্টা করা হলেও বেশ কিছু বাজারে এখনও রোজ মানুষের ভিড় হচ্ছে।
নগরীর নথুল্লাবাদ কাঁচা বাজারে দেখা গেল, বন্ধ চা-দোকানের সামনে ফ্লাস্কে করে চা বিক্রি করছেন দোকানি। সেখানে ভিড় দেদার। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাঘিয়া স্থানীয় যুবকেরা গা ঘেঁষাঘেষি করে আড্ডা দিচ্ছিলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধায় নগরীর পলাশপুর রাস্তায় দেদার লোক বেরিয়ে পড়েছে। বাইক-টোটোর দাপট ছিল আগের মতোই।
Leave a Reply