বরিশালে ১৫ বছর ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নেই কোন কার্যক্রম, সরকারি প্রণোদনা পেতে ভুয়া কাগজ পত্র দাখিল Latest Update News of Bangladesh

রবিবার, ১৬ জুন ২০২৪, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩




বরিশালে ১৫ বছর ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নেই কোন কার্যক্রম, সরকারি প্রণোদনা পেতে ভুয়া কাগজ পত্র দাখিল

বরিশালে ১৫ বছর ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নেই কোন কার্যক্রম, সরকারি প্রণোদনা পেতে ভুয়া কাগজ পত্র দাখিল

বরিশালে ১৫ বছর ইবতেদায়ী মাদ্রাসার নেই কোন কার্যক্রম, সরকারি প্রণোদনা পেতে ভুয়া কাগজ পত্র দাখিল




বিশেষ প্রতিনিধি॥ বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের চরকঞ্জী এলাকার মোহাম্মদীয় আনিছিয়া জৌনপুরী ইবতেদায়ী মাদ্রাসার দীর্ঘ ১৫ বছর পর্যন্ত কোন কার্যক্রম না থাকলেও সরকারি প্রণোদনা পাওয়ার সংবাদে ভুয়া কাগজ পত্র দাখিল করার অভিযোগ উঠেছে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি শুধু কাগজ পত্রে নামমাত্র থাকলেও মাদ্রাসার নেই কোন চিহ্ন,
নেই কোন সাইনবোর্ড। সন্ধান পাওয়া যায়নি ওই প্রতিষ্ঠানে লেখা পড়া করছে এমন কোন ছাত্র ছাত্রীর। প্রোদনা পেতে ভুয়া কাগজ পত্র দাখিল করায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই বিষয় সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায় কাগজ পত্রে নামমাত্র রয়েছে মাদ্রাসা।

 

 

স্থানীয়রা জানেন না কত দিন আগে এই মোহাম্মদীয় আনিছিয়া জৌনপুরী ইবতেদায়ী মাদ্রাসার ঘর ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বৃদ্ধ বলেন বিতর্কিত মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বরিশাল শহরের সাগরদি সিকদার পাড়া এলায় একটি মাদ্রাসায় চাকরি করেন। সেখানে থাকেন তিনি,
এই মাদ্রাসার কার্যক্রম করা লাগে না তার। ওখানে বসেই একেক সময় একেক রকম মনগড়া কাগজ পত্র দাখিল করেন তিনি। ইচ্ছে মত কাউকে কিছু না জানিয়ে পছন্দের লোক জন দিয়ে কমিটির সভাপতি /সম্পাদক করে নেন।

 

তার এই বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করলে তাকে মামলা হামলার ভয় দেখান এই শিক্ষক।
বিতর্ককিত এই শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম এর আগেও একক প্রভাব খাটিয়ে এবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয় করণ হবে এমন সংবাদে বিভিন্ন লোকদের আশ্বাস দিয়ে নিয়োগ বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েন।

 

যারফলে সেই সময় স্বেচ্ছাশ্রমে দীর্ঘদিন পাঠদানকারী ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে দু’জনকে বাদ দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নতুন দুজনকে নিয়োগ প্রধান করেন। সূত্র জানায়, ২০০২ সালে নিয়োগ হওয়া একজন জুনিয়র মৌলভীসহ ৪ শিক্ষকদের পদ শূন্য করে ওই পদগুলোতে নিয়োগ বানিজ্য করে অর্থ আত্মসাতের চেষ্টার লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই সংবাদ বিভিন্ন পত্রিকায় তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তখন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বরিশাল আদালতে একটি মামলা দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত তার এই নতুন নিয়োগ স্থগিত করেন বলে জানা গেছে। তবে মামলা স্থগিত হওয়ার কথা স্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালে বরিশাল সদর উপজেলা চরকাউয়া এলাকার চরকঞ্জীতে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্থাপিত এই মাদ্রাসাটিতে প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম সহ জুনিয়র মৌলভী নূরে আলম, জুনিয়র শিক্ষক লিমা আক্তার, ইবতেদায়ী ক্বারী সাজেদা আক্তার ও জুনিয়র মৌলভী আঃ রাজ্জাক হাওলাদার কর্মরত রয়েছেন।

 

প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বাদে সাধারণ শিক্ষকরা শুধু সামান্য সম্মানী নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে এই মাদ্রাসায় শিক্ষাদান করে আসছেন। কিন্তু সরকার মাদ্রাসা সরকারি করণের ঘোষনার পর মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক সিরাজউল ইসলাম নতুন শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে অর্থ বানিজ্যের লোভে পুরোনা শিক্ষকদের বাদ দেওয়ার পায়তারা চালিয়ে যাচ্ছেন। মাদ্রাসার জুনিয়র মৌলভী নূরে আলম জানান, আমরা স্বেচ্ছাশ্রমে সেখানে কাজ করেছি। মাদ্রাসাটি সরকারি করণ করা হলে আমাদের জন্য ভালো হবে, এটা শুনে আমরা আনন্দিত ছিলাম। কিন্তু এখন আমাদের বাদ দেওয়ার পায়তারা চলছে। আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক । একটা সময় এই মাদ্রাসার করুন পরিনতি ছিল।

 

সেই সময় আমরা এই মাদ্রাসাটিকে পরিচালনা করছি। অনেক সময় নিজেরাও না খেয়েও অর্থ দিয়েছি। তিনি আরো বলেন, আমি ২০০২ সালে নিয়োগ পেয়েছি এই মাদ্রাসায়। এছাড়াও লিমা আক্তার ২০১০ সালে, সাজেদা আক্তার ২০১২ সালে এবং আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ২০০৩ সালে এই মাদ্রাসায় নিয়োগ পান। সেই নিয়োগ পত্রে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর রয়েছে। কিন্তু তারপরও আমাদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। আরেক শিক্ষক জানান আমরা গোপন সংবাদে জানতে পারি কোভিড ১৯ এ সরকার ঘোষিত অার্থিক প্রণোদনার ঘোষণা দিলে নতুন করে ভুয়া কমিটি সাজিয়ে এবং ভুয়া শিক্ষকের নাম দিয়ে কাগজ পত্র জমা দিয়েছে প্রধান শিক্ষক । এই বিষয়ে আমরা বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর অভিযোগ প্রদান করবো। কারন এই অবৈধ নিয়োগ বাস্তবায়ন এবং তাদের নামে সরকারি প্রণোদনা হলে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হবো। এমনকি দীর্ঘ দিন বুকে আশা নিয়ে বিনা বেতনে যেই শ্রম দিয়ে এসেছি আমাদের সেই শ্রমের কোন মূল্যায়ন থাকবে না। এই মাদ্রাসার শিক্ষক লিমা আক্তার জানান, আমাদের পূর্বের নিয়োগ বহাল রাখা এবং সরকারি প্রণোদনা না হলে কুচক্রি মহল সফল হয়ে যাবে। আমরা এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছি।

 

এই সব অভিযোগের বিষয়ে মোহাম্মদীয়া আনিছিয়া জৌনপুরী ইবতেদায়ী মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারিনি। তবে ২০০ ৭ শালে সিডরের সময় মাদ্রাসার ঘরটি ভেঙ্গে গেলে আর উঠানো হয়নি বলে জানান প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম।

 

এ বিষয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অসুস্থ থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে ওই মাদ্রাসার সহ সভাপতি দাবীকরা কামরুল চৌধুরী সংবাদ কর্মীদের সাথে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন কে এনেছে আপনাদের, বরিশালে বহু মাদ্রাসা আছে সব যায়গায় এ রকমই চলে। মাদ্রাসার কিছু নেই আপনারা লিখে কি করতে পারবেন। এলাকার সচেতন মহলের দাবী প্রতিষ্ঠান না থাকার পরেও কি করে একজন প্রধান শিক্ষক ভুয়া কাগজ পত্র দাখিল করে সরকারি টাকা আত্মাসাধ করার সাহস পায়। উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে এই ভুয়া শিক্ষক এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান এলাবাসী।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD