সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
এইচ, এম হেলাল॥ বরিশালে রোগীর দালল আটকের পরও থেমে নেই স্বর্ন প্রতারক চক্র। স্বর্ণ প্রতারক চক্রের কথা বরিশালের কারো অজানা নয়। যার শুরুটা হয়ে ছিলো কাউনিয়ার কুখ্যাত স্বন প্রতারক শাবানা শাহিন দম্পতির হাত ধরে। তবে ভাগভাটোয়ারা দ্বনন্ধে তাদের ব্যবসায় ফাটল ধরে এবং এক পর্যায় ওই প্রতারক দম্পত্তি স্বর্ণ রেখে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। পরবর্তীতে যার হালধরে শাহিনের এক সময়ের শিষ্য কুখ্যাত স্বণ প্রতারক কাওসার ওরফে সোনা কাওসার। গড়ে তোলে বিশাল প্রতারক চক্র। দীর্ঘদিন এই স্বন প্রতারক চক্রের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন নগরীতে আসা সাধারন মানুষ। কেউবা নিজের সহায় সম্বল বিক্রি করে বেঁচে থাকার জন্য নগরীতে চিকিৎসা করাতে এসে এই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে হয়েছেন নিঃস্ব। ফলে প্রশাসনও নড়েচড়ে বসেন। ফলাফলও আসে আশানুরূপ। আইনশৃংখলা বাহিনীর অভিযানে এই প্রতারক চক্রের একাধিক সদস্য ধরা পড়লেও আইনের ফাঁক ফোকড় গলে পুনরায় বেড়িয়ে এসে বীরদর্পে চালিয়ে যায় তাদের প্রতারণ। তবে এই প্রতারক চক্রের গতিবিধির প্রতি লক্ষ্য রেখে অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসতে পারে এদের নকল সোনা তৈরীর আসল ঠিকানা।
ভুক্তভোগীদের অভিমত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালালেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল এবং ধরা পড়বে স্বর্ন প্রতারক চক্রের মূল হোতাদের নাম। আর এদের নিয়ন্ত্রণ করা গেলেই রক্ষা পাবে সাধারণ মানুষ। ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সুত্রে জানা য়ায়, নগরীর কাউনিয়ায় দীর্ঘদিন যাবত নকল সোনা দিয়ে মানুষকে প্রতারনার ফাঁদে ফেলে নিস্বঃ করে চলছে একটি প্রতারক চক্র। চক্রের হোতা কাওছার ওরফে সোনা কাওছার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়ে কয়েক মাস কারাভোগ করে জামিনে রয়েছে সে।
। ফলে বর্তমানে এই প্রতারক চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছে মফিজ ওরফে মজনুসহ কমপক্ষে ৭/৮ জনের একটি দল। স্থানীয়রা আরো জানায় প্রশাসনরে কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে তাদের এই প্রতারনা চালিয়ে যাচ্ছে চক্রটি। অবশ্য এক্ষেত্রে অনেক সময় ওয়ারেন্ট বা তালিকাভুক্ত কিছু আসামী ধরতে মাঝে মাঝে প্রশাসনকে সহযোগিতা করে তারা। আর স্থানীয়রা তাদের এই প্রতারণা কাজে বাধা দিলে নিজেদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে তাদেরকে হেনস্থা করারও হুমকি দেয় প্রতারক চক্রটি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই প্রতারক চক্রের সদস্যরা নথুল্লবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় রিক্সাচালকবেশে অপেক্ষা করে। নিজেদের টার্গেট অনুযায়ী লোক না হলে তারা উল্টো-পাল্টা ভাড়া দাবী করে। ২০ টাকার ভাড়ার স্থলে তারা একশ’ টাকা ভাড়া চায়। নগরীতে আসা নতুন লোক হলে তারা এত বেশি ভাড়া হলেও রিক্সায় উঠে। এরপর ওই প্রতারক রিক্সাচালক যাত্রীর গন্তব্যে না গিয়ে নথুল্লাবাদ খালপাড় সড়কে ঢুকে পড়ে। সুযোগ বুঝে প্রতারক চক্রের অপর সদস্যরা নকল সোনা রাস্তায় ফেলে রেখে ফাঁদে ফেলে যাত্রীদের। সহজ-সরল মানুষগুলোও লোভে পড়ে নকল সোনা নিয়েই হয়ে যায় নিঃস্ব। এমত অবস্থায় প্রশাসনরে হস্থক্ষেপ কামনা করছেন সাধারন মানুষ।
Leave a Reply