শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥ নগরীর কাশীপুর ইছাকাঠী এলাকার ব্রাক অফিসের পিছন থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবাসহ তিন মাদক ব্যবসায়ীকে এস আই ফিরোজ আলম মুন্সীর নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্য ও একান্ত তৎপরতায় আটক করায় বরিশাল মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এস আই ফিরোজ আলম মুন্সীকে শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে ক্রেষ্ট ও নগদ টাকা দিয়ে পুরস্কৃত করেন পুলিশ কমিশনার শাহাবুদ্দিন খান (বিপিএম-বার) ।
গতকাল দুপুর তিনটায় পুলিশ কমিশনারের অস্থায়ী কার্যালয়ে উপস্থিত পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ পুরস্কার দেয়া হয় । এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখার উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মঞ্জুর রহমান সহ উর্ধ্বতন অফিসারবৃন্দ।
উল্লেখ্য গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ( ২৫ জুলাই) রাত পৌনে এগারোটার সময় এয়ারপোর্ট থানাধীন ২৯নং ওয়ার্ডের কাশিপুর ইছাকাঠী ব্রাক অফিসের পিছন থেকে মানিক মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া মোঃ কয়েস সরদার ওরফে সাব্বির এর বাসার মাঝ খানের রুমের মধ্য হইতে আসামী ১) মোঃ কয়েস সরদার ওরফে সাব্বির (৩০), পিতা-মৃত আদম আলী সরদার, মাতা-মৃত আলেয়া বেগম, সাং-উত্তর কৃষ্ণকাঠী ব্রাক মোড় (টেম্পু ষ্টান্ডের উত্তর পাশে সিরাজ খলিফার বাড়ী), ঝালকাঠী পৌরসভা, থানা+জেলা-ঝালকাঠী, এ/পি-জনৈক মানিক মিয়ার বাসার ভাড়াটিয়া কাশিপুর ইছাকাঠী (ব্রাক অফিসের পিছনে) ২৯নং ওয়ার্ড, থানা-এয়ারপোর্ট, জেলা-বরিশাল, ২) মোঃ কামাল সরদার (৩৫), পিতা-মৃত সিরাজ সরদার, মাতা-মোসাঃ রিপনা বেগম, সাং-কালুপাড়া, গৈলা ইউপি, থানা-আগৈলঝাড়া, জেলা-বরিশাল এবং ৩) মোঃ রনি পাইক (২৪), পিতা-মোঃ শহিদুল ইসলাম পাইক, মাতা-মোসাঃ খাদিজা বেগম, সাং-দক্ষিণ শিহিপাশা, ০৬নং ওয়ার্ড, গৈলা ইউপি, থানা-আগৈলঝাড়া, জেলা-বরিশালদের উপস্থিত সাক্ষী ও অন্যান্য লোকজনের সম্মুখে দেহ তল্লাশি করে ০১নং আসামী মোঃ কয়েস সরদার ওরফে সাব্বির এর নিকট থেকে বিপুল পরিমান ইয়াবা ট্যাবলেট বরিশাল মহানগর ডিবি পুলিশ উদ্ধার করে। পুরস্কার প্রাপ্তীর বিষয়ে এস আই ফিরোজ আলম মুন্সী বলেন, পুরস্কার পাওয়া তার নতুন কোন ঘটনা নয়। সে ইতোমধ্যে ২০১৮ সালে ক্লু লেস মামলা তদন্ত করে আইজিপি ব্যাজ পেয়েছেন।
তাছাড়া নিজ ইউনিটে একাধিক বার ক্লুুলেজ মামলা তদন্তে শ্রেষ্ঠ অফিসার মনোনিত হয়ে পুরস্কৃত হয়েছেন।
চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস আজাদ হত্যা মামলা ও আরেকটি চাঞ্চল্যকর ক্লু লেস নারী ডাক্তার মারুফা আক্তারকে বধ্য ফ্লাটে হত্যা ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করে তিনি পুরস্কৃত হয়েছেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান যে, তাহার দীর্ঘ চাকরি জিবনে কোন ধরনের দূর্নাম অর্জন করেন নি তিনি। এ বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় অনুসন্ধান কালে এ প্রতিবেদক এস আই ফিরোজ আলম মুন্সীর শুধু সাফল্যের সংবাদ দেখতে পেয়েছে বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার পাতায়।
তাছাড়া এস আই ফিরোজ আলমের সোশ্যাল মিডিয়া ফেইসবুক ঘেটে দেখা যায় তাহাকে অসংখ্য বন্ধু, সাংবাদিক ও ভক্তরা তাহার গুনকির্তন করেছেন। স্থানীয় এক সাংবাদিক সাহাবুদ্দিন উদ্দিন তাহার কমেন্টসে উল্লেখ করেন ‘‘অসাধারণ একজন মানুষ। সৎ সাহসী ও সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক হিসেবে ইতিমধ্যেই অনেকটা জায়গা করে নিয়েছেন তার কর্মস্থলে।পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এ মানুষ গুলোকে নিয়ে মাথা উচু করে গর্ব করা যায়। সেলুট আপনাকে। অভিনন্দন ও শুভকামনা রইলো আগামী পথচলায়…
Leave a Reply