বরিশালে বদলি হতে পারেন একাধীক উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার Latest Update News of Bangladesh

শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

বিজ্ঞপ্তি :
Latest Update Bangla News 24/7 আপনার চারপাশে ঘটে যাওয়া নানা খবর, খবরের পিছনের খবর সরাসরি ভয়েস অব বরিশালকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] অথবা [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।*** প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে!! বরিশাল বিভাগের সমস্ত জেলা,উপজেলা,বরিশাল মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও ক্যাম্পাসে প্রতিনিধি নিয়োগ চলছে! ফোন: ০১৭৬৩৬৫৩২৮৩
সংবাদ শিরোনাম:
সাংবাদিক জীবন কৃষ্ণ মন্ডল’র পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন প্রতিমন্ত্রী আমার সব শক্তি-সাহস মা-বাবার কাছ থেকে পেয়েছি: প্রধানমন্ত্রী মাছ শিকার করতে গিয়ে শিক্ষার্থীর শ্বাসনালীতে ঢুকে পড়ল ৬ ইঞ্চির বাইন কলাপাড়ায় অর্ধশতাধিক অসহায় মানুষ পেল প্রধানমন্ত্রীর অর্থ সহায়তা চার বিভাগে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা বাড়ল ৪৮ ঘন্টা গৌরনদীতে চমক, সরে দাড়ালেন মেরী, সমর্থন দিলেন মনিরকে হিজলায় প্রচারণায় প্রতিপক্ষের বাধা প্রদানের অভিযোগ চেয়ারম্যান প্রার্থীর বরিশালসহ ৮ জেলায় রাত ১টার মধ্যে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস বিশ্বকাপের আগেই ভারতের বিপক্ষে লড়বে বাংলাদেশ! এক শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে এলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য: ইসি




বরিশালে বদলি হতে পারেন একাধীক উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার

বরিশালে বদলি হতে পারেন একাধীক উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার




এইচ, এম হেলাল॥  বর্তমান শিক্ষাবান্ধব সরকারের আমলেও বরিশালে চার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার রয়েছেন বহু বছর ধরে একই স্থথানে। অভিযোগ রয়েছে, বদলী বাণিজ্যে থেকে শুরু করে ক্ষমতার অপব্যাবহার করছেন তারা। আর এসব বদলী বাণিজ্যের অর্থে ভাগ বসান জেলা শিক্ষা অফিসার লতিফ মজুমদার। অভিযোগ রয়েছে জেলা শিক্ষা অফিসার লতিফ মজুমদার বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্চ উপজেলার মধ্য বোয়ালিয়া থেকে চলতি প্রধান শিক্ষিকা নাহার শিখাকে ডেপুটেশনের মাধ্যমে বরিশালে পূর্ব কর্নকাঠী আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যোগদান করান।

সুত্র বলছে, ডেপুটেশনের মাধ্যমে অন্য উপজেলা থেকে প্রধান শিক্ষিকার যোগদানের কোন সুযোগ নেই। বরিশাল উপজেলা থেকে যে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিতে পারেন। লতিফ মজুমদারের ক্ষমতা দেখে হতভাগ শিক্ষক সমাজ সমিতির সভাপতি জাফর। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী একজন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার থাকতে পারবেন তিন বছর,বিষেশ ভাবে থাকতে পারেন আরো এক বছর অর্থাৎ ৪ বছর। নিয়ম অনুযায়ী বহু বছর ধরে একই কর্মস্থলে থাকার কোন সুয়োগ নেই। অভিযোগ উঠেছে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরিন রয়েছেন ৫ বছর ৫ মাস। সাবিনা আক্তার আছেন ৬ বছর ১১ মাস। খায়রুল নাহার রয়েছেন ৬ বছর ১১ মাস। নাসিমা বেগম ৬বছর ১মাস।

বরিশাল নগরীর মুসলিমপাড়া এলাকায় উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার লায়লা জেরিনের রয়েছে সাত তলা একটি ভবন। ওই ভবনের লিফটের কাজ চলামান রয়েছে। সাততলা ভবনে লায়লা জেরিনের তিনতলায় ২ ইউনিট ও ছয় তলায় এক ইউনিট রয়েছে বিশ্বত সুত্র নিশ্চিত।

করেছেন।  লায়লা জেরিন গনশিক্ষা মন্ত্রী জাকির হোসেনের ঘনিষ্ঠ এক বিএনপি পন্থির দাপট দেখিয়ে বেরাচ্ছেন। অন্যদিকে নাছিমা আক্তারের স্বামী ঝালকাঠী জেলার বিএনপির সহসভাপতি বলে জানা গেছে। ঝালকাঠী জেলার বিএনপির সভাপতির স্ত্রী বরিশাল উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাসিমা বেগম রয়েছেন বহাল তবিয়াতে। নলছিটি উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাছরিন আক্তার বরিশালে আছেন দুই বছর। সুত্র বলছে, বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ থানার হিজলা উপজেলার সহকারী শিক্ষা অফিসার নাছরিন আক্তার প্রথমে নলছিটিতে ১বছর কর্মস্থলে থাকার পরপরই বরিশালে আসেন। এতে করে তিনি নতুন প্রশ্নের উদ্ভব ঘটালেন! নিয়ম অনুযায়ী একই কর্মস্থলে তিন বছর থাকার সরকারি বিধান রয়েছে। তিনি সরকারি নিতিমালা অমান্য করে বদলি হয়ে বরিশালে এসে যোগদান করেন। নাছরিন আক্তরের বিরুদ্ধে রয়েছে বদলি বানিজ্য। এসকল বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাকে ডিজি স্যার বদলি করে বরিশাল দিছেন তবে তা ইমেল বার্তা মাধ্যমে। ডিপিও স্যার ও জানেন,আগের সাবেক এক মন্ত্রীর শুপারিশ এর মাধ্যমে আমি বরিশালে আসছি। বদলি ব্যানিজ্য বিষটি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ভাগনির জন্য শুপারিশ করছিলাম তা হয়নি ,আমার ভাগনি সাঁতার কাটতে পারে না এজন্য শুপারিশ করছিলাম। হিজলা গ্রামে আমি বড় হইছি,পড়াশুনা সেখান থেকে করেছি। চাকরি সুবাধে আমি তো একটু শুপারিশ করতেই পারি।

সুত্র বলছে, দুর্নীতির আতুর ঘর এখন বরিশাল উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ।
এদিকে ১নং রায়পাশা – কড়াপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ৯নং মাকরকাঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক জাফর’র বিরুদ্ধে এক শিক্ষিাকে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে(পি.টি.আই),বসে সবার  সম্মুখে বীনা মন্দির সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়  এক শিক্ষিকার গালে চর মারেন শিক্ষক সমাজ সমিতির সভাপতি জাফর। লোক লজ্জার ভয়ে তিনি কোন প্রতিবাদ করেননি। পরবর্তীতে দিনা (সুপারেন্ট) ম্যাডামের মাধ্যেমে তা সমাধান করা হয়।  অপর দিকে বরিশাল নগরীর বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ঢেলে সাজানো হয়েছে যা চোঁখে পরার মত। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মুজিব জন্মশতবর্ষে আলোকসজ্জার নিয়ম থাকলেও প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট(পি.টি.আই), করা হয়নি আলোকসজ্জা। আলোকসজ্জা না থাকায় এলাকায় বাসীর মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে উপ- পরিচালক এস এম ফারুক বলেন,আমি ঢাকায় ছিলাম তবে কেন আলোকসজ্জা করা হয়নি আমার জানা নেই। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে সত্যতা পেলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয় সুপারেন্ট দিনা ইয়াসমিন বলেন, বহু দোকান খুজেঁ লাইট পাওয়া যায়নি, দোকান গুলো খুজেঁ আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হবে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট(পি.টি.আই), আলোকসজ্জা সাজানো হয়নি।

অপরদিকে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনী কে নতুন প্রজেক্টর রাখার খাঁচায় যেন পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের বালিশ কান্ডের ভূত ভর করেছে। বরিশালে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাল্টিমিডিয়া কাশ নেয়ার জন্য শ্রেনী কে প্রজেক্টর রাখার প্রতিটি খাঁচা তৈরিতে ৪ হাজার টাকা বিল নেয়া হচ্ছে বলে জানান একাধীক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক। ওই সমস্ত খাঁচা তৈরিতে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা খরচ হয় বলে জানিয়েছেন খাঁচা তৈরি ওয়ার্কসপ মালিক শাহাবুদ্দিন। আর এসব অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন বরিশাল নগরীর বিনা পানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক এইচ.এম আব্দুল হাই, একই বিদ্যালয়ের পার্থ সাহা ও ভাটিখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পলিন্স। নগরীর বিনা পানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক এইচ এম আব্দুল হাই জানিয়েছেন আমার বিদ্যালয়েও খাঁচা বসানো হয়েছে। আর প্রজেক্টর রাখার খাঁচা তৈরিতে ৪ হাজার টাকা তিনি নিজে খরচ করেছেন দাবী করলেও পরে ভোল পাল্টে বলেন ১৫/২৫ শত টাকার মত খরচ হয় খাঁচা তৈরীতে।

অপর দিকে দুজন সহকারী শিক্ষক একই কাজ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিনা পানি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পার্থ সাহা বলেন, শ্রেনী কে প্রজেক্টর রাখার বিষয় অগের প্রধান শিক্ষক এইচ এম আব্দুল হাই স্যার ভালো বলতে পারবেন। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি প্রজেক্টর লাগানো বাবদ স্কুল থেকে কোন টাকা নেইনি। ওয়ার্কসপ মালিক শাহাবুদ্দিন আমার নাম কেন বললেন তা আমার জানা নেই। ভাটিখানা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক পলিন্স’র সাথে আলাপ কালে তিনি বলেন, আমার স্কুলে প্রজেক্টর রাখার খাঁচা তৈরিতে ৪ হাজার টাকা ব্যায় হয়েছে। এসকল বিষয় ওয়ার্কসপ মালিক শাহাবুদ্দিন বলেন, শিক্ষক এইচ এম আব্দুল ‘হাই স্যার, পার্থ স্যার ও পলিন্স স্যার আমার এখানে খাঁচা তৈরির অর্ডার দিয়েছেন। আমি তাদের কথা মত বিভিন্ন বিদ্যালয়ে তা লাগিয়ে দিয়েছি। তবে ২৫শত টাকার খাঁচা কম লাগানো হয়েছে। ১৫শত টাকার খাঁচা বেশি লাগানো হয়েছে। ম্যামোতে কোন টাকা উঠানো নেই আমি দিতে চাই ছিলাম তখন পলিন্স স্যার উঠাতে দেননি। ঠিক ওই দুজন স্যার একই কাজ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, পলিন্স নিজের বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু বিদ্যালয় প্রজেক্টর রাখার খাঁচা থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। অনেক বিদ্যালয়ে কোন ক্যাশ মেমো দেয়া হয়নি।

নাম বলতে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক জানান, আমার স্কুলে প্রজেক্টর রাখার খাঁচা তৈরিতে ৪ হাজার টাকা পলিন্সকে দেয়া হয়েছে কিন্তু কোন ক্যাশ মেমো দেননি। তাকে ফোন দিলে টালবাহানা শুরু করেন। এসকল বিষয় জানতে চাইলে পলিন্স বলেন, আমার স্কুলে প্রজেক্টর রাখার খাঁচা তৈরিতে ৪ হাজার টাকা ব্যায় করেছি। অন্যএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুধু আমার স্কুলে খাঁচা বসানো হয়েছে। আমার দেখা দেখি অন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বলছেন কোথা থেকে বানানো হয়েছে ? আমি শুধু ওয়ার্কসপ মালিকের মোবাইল নাম্বার দিয়েছি। আপনি চাইলে মোবাইল নাম্বার নিতে পারেন। তিনি এও বলেন “ভাই আপনি কি বরিশালের ছেলে ? যদি বরিশালের হন তাহলে তো আমাকে আপনার চেনার কথা।

তা ছাড়া আমি এক সময় বরিশাল বিএম কলেজ ছাত্রলীগ করেছি”। এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছিমা আক্তারের মুঠো ফোনে একাধীকবার ফোন দিলে তিনি তা রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তার সেল ফোনে একটি ুদে বার্তা পাঠালেও সেখান থেকে কোন উত্তর মেলেনি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মাদ রফিকুল ইসলামকে একাধীকবার ফোন দিলে তিনি রিসিভ না করায় তারও বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকার জন্য বিভিন্ন লোকজন দিয়ে এ প্রতিবেদককে ফোন দেয়া হয়। আসলে দুই চার হাজার টাকা কোন বিষয় নয়। একজন শিক্ষক যিনি মানুষ গড়ার কারিগর। তারা নিজেরাই যদি দুর্নীতি করেন তাহলে তারা শিক্ষার্থীদের কি শেখাবেন এমন অভিমত সচেতন নাগরিকদের।

এছাড়াও নগরীতে বিদ্যালয়ের পাশে থাকা টিনশেড বিল্ডিং বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে বরিশাল বিভাগীয় এক শ্রেষ্ঠ শিক্ষিকার বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষিকার দাবী ডেঙ্গু মশা ও বিষধর সাপ,থাকার করানে পরিত্যক্ত টিনশেড বিল্ডিং টি বিক্রি করা হয়েছে তবে টিনশেড বিল্ডিং নয় একটি গোলের ঘর ছিলো বলেছেন প্রধান শিক্ষিকা। অপরদিকে টিনশেড বিল্ডিং দরপত্রের কোন কাগজ নেই তার কাছে এমনই বক্তব্য দিয়েছেন তিনি। কত টাকায় বিক্রি করা হয়েছে তা বলতে রাজি হননি প্রধান শিক্ষিকা মাফুজা। বরিশাল নগরীর সিস্টার ডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাফুজা ২০১৭ সালে সেক্টেম্বর মাসে তিনি ওই বিদ্যালয় যোগদান করেন। এরপর থেকে তিনি র্দুনীতির আতুর ঘর তৈরি করেন বিদ্যালয়টিতে । সুত্র বলছে, একই বিদ্যালয়ে থাকা সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার মাসের পর মাস মেডিকেল ছুটি দেখিয়ে যাচ্ছেন। ফলে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ছাত্র-ছাত্রীদের একাধীক অভিবাক। বিষয়টি নিয়ে প্রথমে প্রধান শিক্ষিকা মাফুজার কাছে জানতে চাইলে তিনি দায় এড়াতে বর্তমান বরিশাল জেলা প্রশাসকের নাম বলেন এবং জেলা প্রশাসক নিজে টিনশেড বিল্ডিং ভাঙ্গতে বলছেন, অথচ বরিশাল জেলা প্রশাসক বললেন ভিন্ন কথা, বরিশাল জেলা প্রশাসক অজিয়র রহমান বলেন, বিদ্যালয় বিষয়টি আগে ম্যনেজিং কমিটি দেখবে। সুত্র বলছে ,সরকারী জিনিস পত্র বিক্রি করার আগে যে কোন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জানান দিতে হয়। লটারি কিংবা ডাকের মাধ্যমে যে কোন ঠিকাদার ওই কাজটি নিবেন। যা শিক্ষা মন্ত্রনালয় অধিনস্থ থাকতে হবে। প্রধান শিক্ষিকা মাফুজা সরকারী টিনশেড বিল্ডিং বিক্রি করে টাকা আত্তসাধ করেছেন যা সম্পূর্ন বে আইনি ।

এ বিষয় বিভাগীয় উপ-পরিচালক এস এম ফারূক বললেন, সরকারী টিনশেড বিল্ডিং বিক্রি করা হয়েছে এটা আমার জানা নেই তবে কেউ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে । প্রধান শিক্ষিকা মাফুজার বিষয়টি নিয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল লতিফ মজুমদারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বিক্রি করার বিষয় আমি জানি না।বিষয়টা রিমোভ হইছে, বিক্রি করার বিষয়টা আমার জানা নাই এবং অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।

বেলতলা এলাকার মাহামুদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়রে প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাতের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালের আগষ্ঠ মাসের ৩ তারিখে এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতহানি ও যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছিলো। তদন্ত সত্যত্যা পেয়ে তাকে ওই বিদ্যালয় থেকে বদলি করে বরিশাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদে যোগ দান করেন সে । সরকারি নিয়ম রয়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক -শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় পাশাপাশি তাদের অন্য জেলায় বদলি করা। সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীকে শ্লীলতহানি ও যৌন হয়রানি করা সত্যেও পারভেজ সাজ্জাত কর্মরত রয়েছেন বরিশালের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে। সকল অভিযোগ অস্বিকার করে প্রধান শিক্ষক পারভেজ সাজ্জাত বলেন, সেদিনের ঘটনা ছিলো আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র মাত্র।

ওই বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা আমার বিরুদে মিথ্যা অপপ্রচার করেছেন। আর এতদিন পরে কেন এমন প্রশ্ন ভাই ? বিষটি তো সিটি এসবি থেকে থানার ওসি পর্যন্ত জানেন এই কথা বলে তিনি মুঠো ফোন কেটে দেন।

সকল বিষয় নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর মহাপরিচালক মোঃ ফসিউল্লাহ বলেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাধারনত তিন বছর,ব্যাতিক্রম যদি কিছু হয় তহলে হয়তো চার বছর থাকতে পারেন। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগন বদলি চাইলে তাদের জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে আবেদন পত্র জমা দিতে পারেন। আবেদন করলে আমরা বিবেচনা করি তার কর্মকান্ড,সে কোথায় যেতে চায় তার প্রয়োজনটা কি সে অনুযায়ী আমরা বিবেচনা করি। কে কত বছর আছেন এইটা আমি অবগত আছি,আমরা একটা তালিকা তৈরি করেছি কে কবে কত দিন ধরে আছেন আমরা এই মাসে অতি দ্রুত সিদান্ত নিচ্ছি। ডিডি ডিপিও দের সাথে কথা বলছি। প্রথম দিকে ৩/৪ বছর যারা আছেন তাদের বদলি করা হবে । তিনি আরো বলেন, দেশে করোনাভাইরাস কারনে একটু পিছিয়ে গেছি।

সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করুন



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *










Facebook

© ভয়েস অব বরিশাল কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
Developed BY: AMS IT BD