শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন
মোঃ মাসুদ সরদার প্রতিনিধিঃ মায়ের থেকে জোড় পুর্বক জমি লিখে নিয়ে দ্বিতল বিল্ডিং গড়ে স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকে ছেলে,বৃদ্ধ মাকে রেখেছে বাইরে টিনের ছাপড়া দিয়ে কাঠের মাচা (মাইচ্চা) করে পরিত্যাক্ত ঘরে। ছেলের বিল্ডিংএ বৃদ্ধ মায়ের হয়নী ঠাই নেই কোন চিকিৎসা ও যত্নাদিও। সংবাদ প্রকাশ হবার পরে অবশেষে ভূমি দস্যু ইউনুসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
গ্রেফতারের পর এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে শুরু করেছে। স্থানীয় ও সরেজমিন গেলে এলাকার মানুষ তার বিরুদ্ধে জমি দখল, রেকর্ড করানোর জন্য টাকা নেয়া, স্থানীয়দের প্রশাসন দিয়ে হয়রানি, প্রতিপক্ষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোসহ অনেক অপকর্ম রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এলাকার লোকজন আরো জানায়, ইউনুস তার মায়ের সম্পত্তি বিক্রি করে বাড়িতে ২তলা ভবনে নিজ স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বসবাস করলেও একমাত্র গর্ভধারীনি মাকে রেখেছে পরিত্যাক্ত টিনের ঝুপরি ঘরে। দশ বছর যাবৎ মায়ের কোন খোজ খবর নেয়নি একমাত্র কুলাঙ্গার সন্তান ইউনুস।
গর্ভধারীনি মাকে তার চাচাতো বোন সেবা করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও এলাকায় রয়েছে তার বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ। খাজুরিয়া গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে মুজাফর মিয়ার কাছ থেকে তার বাড়ির মধ্যে জায়গা রয়েছে দাবী করে দেড় লাখ টাকা নিয়েছে ভূমি দস্যু ইউনুস মিয়া ওরয়ে লেসু।
এ ছাড়া এলাকার আমজেদ মিয়ার ৮০হাজার টাকা, জহুরা বেগম ও মাহবুবকে বাড়ি ছাড়া করার হুমকি, ও একই এলাকার হান্নান ফকিরের মুদির দোকান চুরির ঘটনায় প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ তালুকদার তাকে মারধর করলে সে এলাকা ছেড়ে ঢাকা যায়। কয়েক বছর পর এলাকায় এসে তার কয়েক অনুসারী নিয়ে শুরু করে ভূমি দস্যুতা, জালজালিয়াতি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিসহ ভূমি জরিপ এর সময় দরিদ্র লোকজনের কাছ থেকে কৌশলে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার সকালে ওই এলাকায় সরেজমিনে গেলে এলাকার শতশত নারী-পুরুষ এসব অভিযোগ করেন। এলাকার শতশত নারী-পুরুষ ইউনুসকে গ্রেফতার করায় আগৈলঝাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আফজাল হোসেনকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ইউপি সদস্য ইউনুস মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আ.কাদের, খালেক ফকির, মজিবুর রহমান মিয়া, তরিকুল ইসলাম, হায়াতুন বিবি, জহুরা বেগম, ইসাকুল ইসলাম, রুহুল আমিন দুলাল, আ. রহিম মিয়া, আবু কাদের, শাহজাহান মিয়া, তোতা মিয়া, কালাম, জসীম মিয়া, আলতাব মিয়া, সামছুল হক প্রমুখ।
Leave a Reply