বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৪:২৪ অপরাহ্ন
মোল্লা,বানারীপাড়া বরিশাল থেকে॥ বরিশালের বানারীপাড়া ফেরিঘাটের পন্টুন থেকে সন্ধ্যা নদীতে পড়ে গিয়ে জান্নাত নামে এক শিশু নিখোঁজ হওয়ার পর তার লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। রবিবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা বন্দর বাজার সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে নিখোঁজ শিশু জান্নাতকে উদ্ধার করে থানা পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।
জানা গেছে, শনিবার (১৪ মার্চ) রাত সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার পূর্ব-উদয়কাঠী গ্রামের ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে। মলুহার নুরানী মাদরাসার ছাত্রী জান্নাত (৬) ফুফুর বাড়ি চাউলাকাঠী গ্রাম থেকে পিতা-মাতার সঙ্গে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ফেরিঘাটের পন্টুন থেকে সন্ধ্যা নদীতে পরে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে ওই রাতেই বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার মো. আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একদল ডুবুরি সন্ধ্যা নদীতে নিখোঁজ শিশু জান্নাতকে উদ্ধারের জন্য অভিযান চালায়। রাতে ২টার পর তাদের উদ্ধার অভিযান বন্ধ রাখেন এবং তারা পরদিন রবিবার সকাল থেকে পুনরায় শিশু জান্নাতকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন।
শিশুর পিতা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, শনিবার সন্ধ্যায় তার স্ত্রী ও শিশু কন্যা জান্নাতকে নিয়ে উপজেলার চাউলাকাঠী গ্রামের বোনজামাইয়ের বাড়ি থেকে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার সময় রাত আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে বানারীপাড়া ফেরি ঘাটের পন্টুনের ওপর খেয়া পার হওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় তারা শিশু জান্নাতকে ওই ফেরির পন্টুনের পিলারের পাশে (নদীর দিকে) দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। হঠাৎ করে সে একটি মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় তার মেয়ের চিৎকার শুনতে পেয়ে পেছনের দিকে তাকিয়ে আর তাকে দেখতে পান না। তার ধারণা শিশু জান্নাত ফেরির পিলারের পাশে দাঁড়িয়ে থাকার সময় পা পিছলে সন্ধ্যা নদীতে পড়ে গেছে। এ সময় ফেরি ঘাটের লোকজন ওই শিশুকে উদ্ধার করার জন্য সন্ধ্যা নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করেন।
তারা ওই শিশুকে উদ্ধার করতে না পেরে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশু জান্নাতকে উদ্ধার করার জন্য দুটি ট্রলারে পৃথকভাবে অভিযান চালান। সে অনুযায়ী তারা রবিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফেরিঘাট এলাকা থেকে শিশু জান্নাতকে উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার মো.আবুল হোসেন বলেন, সন্ধ্যা নদীতে নিখোঁজ শিশু জান্নাতের লাশ উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করতে পেরেছি।মো.সুজন
Leave a Reply