মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ০৮:২৯ অপরাহ্ন
এইচ.এম হেলাল : বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার সামনে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সমন্নয়ক হোসাইন আল সুহানের গ্রেপ্তার এবং নারী আন্দোলনকারীদের চুল ধরে ধরে নেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা থানায় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যার পর থেকেই আন্দোলনরতরা থানার প্রধান গেট আটকে দিয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। এ সময় থানার মধ্যে ও বাইরে ছাত্র-জনতা আটকে পড়েন।
খবর পেয়ে নিউজ কভারেজের জন্য আসা সাংবাদিকদেরও থানার মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। স্বাস্থ্যসেবা সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্নয়কারী মহিউদ্দীন রনি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে হোসাইন আল সুহানের গ্রেপ্তারের কারণ জানতে চাইলে পুলিশ জানায়, তিনি ডেভিলে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে কোন মামলা দায়ের করা হয়েছে তার বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সাড়ে সাতটার সময়ও মহিউদ্দীন রনিসহ ছাত্র-জনতা অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন। পাশাপাশি থানার বাইরে আরও অসংখ্য ছাত্র-জনতা এবং সংবাদকর্মী অপেক্ষমান ছিলেন। থানার গেটের বাইরে থাকা সাংবাদিকদেরও প্রবেশে বাঁধা দেওয়া হয়। পুলিশের কোনো কর্মকর্তা এখনও মিডিয়ার সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেননি।
বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দেড় শতাধিক ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরেছেন। এ তথ্য মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেল নিশ্চিত করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক নাজমুল হুদা ও সৌমিক আহমেদ। তারা জানান, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে একমত পোষণ করেই ইন্টার্ন চিকিৎসকরা সাত দফা দাবি পেশ করেছিলেন। তবে আন্দোলনের নামে হাসপাতালের চিকিৎসক ও অন্যান্য স্টাফদের ওপর হামলার পর নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে তারা কর্মবিরতিতে গিয়েছিলেন।
সিএমস হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মাজহারুল রেজওয়ান রেজা বলেন, “হাসপাতালের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার হয়েছে। পুলিশ হামলাকারীদের গ্রেপ্তার অভিযান চালাচ্ছে। যদি নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়, ইন্টার্নরা আর কর্মবিরতিতে যাবে না। বর্তমানে হাসপাতালের সেবা কার্যক্রম বন্ধ নয়।”
এই ঘটনা বরিশালে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার আন্দোলন এবং চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে নতুন প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। ছাত্র-জনতা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ও সমন্বয় বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
Leave a Reply